বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র গোয়েন্দা কমান্ডার আলী মুসাভি। তিনিসহ মোট ১৯ জন নিহত হন ওই ঘটনায়। এরমধ্যে বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। ইরানি গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে ‘বিপ্লব-বিরোধী সন্ত্রাসীরা’ এ হামলার পেছনে রয়েছে। শুক্রবার ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী জাহেদান শহরের একটি থানায় ও হামলা হয়। হামলার পর একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা নগরীর মাক্কি মসজিদের কাছে দাঁড়িয়ে গুলিবর্ষণ শুরু করে। ফলে আইন-শৃংখলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়। এ সময় আইআরজিসি’র কমান্ডার আলী মুসাভির বুকে গুলি লাগে এবং হাসপাতালে নেয়ার পর তিনি মারা যান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে একই কথা বলেছে এএফপিও। সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের গভর্নর হোসেইন মোদাররেস খিয়াবানি বলেছেন, জাহেদানের থানায় শুক্রবারের সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশ সদস্যসহ ১৯ জন নিহত ও অপর ২০ জন আহত হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী ও বিপ্লব-বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সন্ত্রাসীরা থানায় পাথর মেরে হামলা শুরু করে এবং পরে গুলি চালায়। এরপর সন্ত্রাসীরা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি, একটি ফায়ার সার্ভিসের অফিস, একটি ব্যাংকসহ জাহেদান শহরের আরো কয়েকটি স্থানে হামলা চালাতে উদ্যত হয়। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে সেসব হামলা ব্যর্থ হয়। চলমান শাসকগোষ্ঠীর বিরোধী সংগঠন জয়েশ আল-জুলুম জাহেদানে শুক্রবারের হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যমগুলো। বর্তমানে মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানের শহরগুলোতে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে। এতে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবারের হামলার সঙ্গে এই বিক্ষোভের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন