গত সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৯৫ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২৮০ এবং নিহত হয়েছে ৫১৭ জন। গড়ে প্রতিদিন নিহত ১৭ জন, আহত ১১৭ জন। সেভ দ্য রোড-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা বলেন, কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ, পুলিশ-প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রতিনিয়ত পথে যেমন দুর্ঘটনা একের পর এক ঘটেই চলেছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অক্টোবরের নৌ দুর্ঘটনাও। নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে অবৈধ নৌযানে সয়লাব যেমন হয়েছে, তেমন তাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচলের কারণে নৌপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৫৯ টি, এতে আহত ৫১৪ জন, নিহত হয়েছে ৬৮ জন এবং নিখোঁজ রয়েছেন ১২ জন রেলপথ দুর্ঘটনা ১৭৮ টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১৭৪ জন এবং নিহত হয়েছে ১৪ জন। আকাশপথে কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরে চরম অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিদিন শত শত যাত্রী হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যে দেখা যায়, ৬৭৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ৫০৯ এবং নিহত হয়েছেন ৪৬ জন, ৯০৩টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮৯৩ এবং নিহত হয়েছেন ৬৭ জন, ১০১১টি বাস দুর্ঘটনায় আহত ৯০৯ ও ২৭৫ জন নিহত হয়েছেন, ব্যাটারিচালিত যান, পিকআপ, সিএনজিসহ মাঝারি ও ক্ষুদ্র ধরণের বাহনে ১০০৬ টি দুর্ঘটনায় আহত ৯৬৯ এবং নিহত হয়েছেন ১০৯ জন।
২০০৭ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে আত্মপ্রকাশের পর থেকে গত ১৫ বছর ধরে আকাশ-সড়ক-রেল ও নৌপথকে দুর্ঘটনামুক্ত করার লক্ষ্যে দেশের একমাত্র স্বেচ্ছাসেবী ও গবেষণা সংগঠন সেভ দ্য রোড সেপ্টেম্বরের এই প্রতিবেদনেও বরাবরের মত তাদের সুপারিশ তুলে ধরে। সেখানে বলা হয়-পথদুর্ঘটনারোধে দেশের সকল সড়ক-মহাসসড়ক ও সেতুতে বাইকলেন, পথচারিদের জন্য ফুটপাথ এবং বাইসাইকেল লেন এবং সারাদেশে সকল সড়ক-মহাসড়কে সিসিটি ক্যামেরা স্থাপন-পর্যবেক্ষণ এবং পাঁচ কিলোমিটার অন্তর অন্তর পুলিশ বুথ স্থাপন করলে সড়কপথ হবে দুর্ঘটনা ও যাত্রী হয়রানী-খুন-ধর্ষণমুক্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন