আগামী সংসদ নির্বাচন জোর-জবরদস্তি ভাবে হবে- এমন মেসেজ সরকারি দল থেকে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। গতকাল শরিবার সন্ত্রাসী হামলায় পা হারানো জাতীয় পার্টির নেতা শফিকুল ইসলামকে দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন।
জিএম কাদের বলেন, ফের জোর-জবরদস্তি ভাবে নির্বাচন হবে এই ধরনের একটি মেসেজ সরকারি দল থেকে পাচ্ছি। যেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক, আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি বিশ্বাস করি। কোনো সহিংসতাকে বিশ্বাস করি না। আমাদেরকে কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে। সভা সমাবেশের স্বাধীনতা দিতে হবে। বিক্ষোভ প্রদর্শনীর স্বাধীনতা দিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যদি বাধাগ্রস্থ হই, তাহলে সাধারণ রাজনীতি চলতে পারে না। স্বাভাবিক রাজনীতি শেষ পর্যন্ত বিদায় নেবে। আমাদের দেশের জন্য দুর্যোগের আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।
জিএম কাদের বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতি স্বাভাবিক ভাবে চলবে। জনগণ ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার পাবে। এই জন্যই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। গণতান্ত্রিক দেশ হবে। যার জন্য এই দেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। দুর্ভাগ্যের বিষয় রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গণতন্ত্র যেন এদেশে স্থান লাভ করতে পারে সেজন্য আমরা সব জায়গায় প্রার্থী দিচ্ছি। এসব করতে গিয়েই বাধাগ্রস্ত হচ্ছি।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে গাজীপুরে সভা করতে গিয়েছিলাম সেখানে আইন-শৃংখলা বাহিনী ও সরকার দলীয় লোক সভা করতে দেয়নি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। সেখানেও যদি বাধাগ্রস্ত হই তাহলে দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি কোথায় থাকবে। স্বাভাবিক রাজনৈতিক কিভাবে চলবে। এভাবে সাধারণ রাজনীতিকে যদি পথরোধ করে দেয়, তাহলে দেশ বড় ধরনের সহিংসতার দিকে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছি। এটা কারো কাম্য নয়, এগুলো সুস্থ রাজনীতির অন্তরায়। আগামী নির্বাচনের জন্য অশনি সঙ্কেত। এক প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দলে কোনো অন্তর্দ্ব›দ্ব নেই, সহিংসতাও নেই। সরকারের কাছে আবেদন করেছি যাতে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
আহত শফিকুল ইসলাম সম্পর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রোগীর অবস্থা খুব খারাপ। তার অনেক জায়গায় জখম আছে। বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তার অবস্থা দেখে আশঙ্কাজনক মনে হলো। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, সে স্থিতিশীল আছে। তিনি বলেন, তুষখালীর ইউননিয়নের জাতিয় পার্টি থেকে ইউপি নির্বাচনে আমরা অংশ নিয়েছিলাম। যেখানে বিএনপিসহ অনেক দল অংশ নেয়নি। তা না হলে আওয়ামী লীগ একতরফা ভাবে পাস করতো।
তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থী যাতে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারে আহত শফিকুল উদ্যোগী ভ‚মিকা নিয়েছিল, যদিও আওয়ামী লীগ পাস করেছে। এরপর থেকে বিভিন্ন ধরনের এবং জমি সংক্রান্ত মামলা দেওয়া শুরু হয়েছে। তাকে প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে। এরকম একটা মামলার জন্য কোর্টে হাজিরা দিতে যাচ্ছিল শফিকুল। তখনই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও ফিরোজপুর জেলার স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন