নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুকে অগ্রাধিকার দিয়ে ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের লক্ষ্যে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বিএনপি ও কল্যাণ পার্টি। রোববার বিকেলে কল্যাণ পার্টির সাথে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়ে বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে কয়েকটি প্রধান বিষয় বা দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন শুরু করবো সেই বিষয়ে আমরা আলোচনায় একমত হয়েছি। এরমধ্যে প্রধান দাবির দুই একটা হচ্ছে-আমরা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, এই সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করার ব্যাপারে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একমত হয়েছি। একইসাথে গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাকে অন্যায়ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে তিনিসহ সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি এবং যাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে সেই মামলা প্রত্যাহারের বিষয়েও একমত হয়েছি।
দ্বিতীয় দফা সংলাপ কেনো ব্যাখ্যা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রথম দফা সংলাপে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম যে, একটা যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব। দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমরা কোন কোন দাবিতে বা ইস্যুতে আন্দোলনটা করবো সেই বিষয়ে আলোচনা করে ঐক্যমতে এসেছি। তিনি জানান, দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ছাড়া সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হবে। প্রথম দফায় ২০ দলীয় জোট, গণতন্ত্র মঞ্চের মোট ২৩টি দলের সাথে সংলাপ করেছে।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কল্যাণ পার্টির সাথে এই সংলাপ হয়। এসময় বিএনপি মহাসচিবের সাথে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা নূরুল কবির পিন্টু, আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, মাহবুবুর রহমান শামীম, জামাল হোসেন, আবু হানিফ, আবু ইউসুফ।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমাদের সকল সদস্য এই আলোচনা অংশ নিয়েছেন এবং আমরা বলেছি যে, যুগপৎ আন্দোলন কবে? তবে আমরা একমত হয়েছি তারিখটা প্রকাশ না করার জন্যে। একটা বাংলা শব্দ বলতে পারি, চমক আছে। আমি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে করি যে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম সেটা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ আমাদেরকে যারা ভালোবাসেন আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধে লড়ব এবং জয়ী হবো। এখানে জয় ব্যতীত অন্য কোনো বিকল্প নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন