মিথ্যা ঘোষণার সিগারেট আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের মামলায় দুই আমদানিকারককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. জেবুননেসার আদালতে আলাদা দুইটি মামলায় হাজির হয়ে দুই আমদানিকারক জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুই আমদানিকারক হলেন- ঢাকার মিমি লেদার কটেজের মালিক গোলাম মোস্তফা ওরফে বাচ্চু মিয়া ও পাবনার এসকে এস এন্টারপ্রাইজের মালিক রাশেদুল ইসলাম কাফি।
আদালতের পিপি মাহমুদুল হক জানান, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সিগারেট আমদানি করে ১৬ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে গত মার্চ মাসে আলাদা দুইটি মামলা করা হয়। যেখানে দুই আমদানিকারকসহ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছিল। দুই মামলায় দুই আমদানিকারক উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের পর তারা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে গোলাম মোস্তফা তার প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাগ, জুতা তৈরির মেশিন ও রাশেদুল ইসলাম রুটি তৈরির মেশিন আমদানির ঘোষণা দিয়ে সিগারেট আমদানি করেন। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা এসব সিগারেটের বিষয়টি জানতে পেরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের পণ্য খালাসের বিষয়টি স্থগিত রাখলেও পরবর্তীতে কিছু অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে তারা সেগুলো খালাস করে নেন। মিথ্যা তথ্যে আমদানি করা এসব সিগারেট খালাসের মাধ্যমে গোলাম মোস্তফা আট কোটি ১৮ লাখ ৫ হাজার ১৮৩ টাকা ও রাশেদুল ইসলাম আট কোটি ১৫ লাখ ছয় হাজার ১১২ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন