মুন্সীগঞ্জ বিএনপি’র ১১৭ নেতা-কর্মীর আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এ জামিন দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, শহর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ইরাদত মানু, মীরকাদিম পৌরসভার আহ্বায়ক জসিমউদ্দিন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা মো. হালিম হোসেন রয়েছেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২টি পৃথক মামলা হয়। মামলা দু’টিতে ১ হাজার ৩৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়। দুই মামলায় ইতোমধ্যে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলা করেন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল মালেক। এ মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটার দিকে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মী হত্যার বিচার দাবিতে মুন্সীগঞ্জ শহরের মুক্তারপুর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।