আশি^ন মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। অর্থাৎ শরৎ ঋতু প্রায় শেষের দিকে। আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্রসহ ভরা বর্ষা মৌসুম নজিরবিহীন খরা-অনাবৃষ্টিতে অতিবাহিত হয়েছে। অথচ এবার বর্ষা-পরবর্তী আশি^ন মাসে এসেই সারা দেশে বর্ষাকালের মতোই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এবং সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত দুদিন যাবৎ সারা দেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হয়। আবার অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নোয়াখালীতে ১৭৫ মিলিমিটার।
আমন বীজতলা তৈরি ও রোপা আমন আবাদের উপযুক্ত মৌসুমে দেশে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। এখন অকাল বৃষ্টিপাতের কারণে আমন, আলুসহ ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অসময়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে উঠতি আমন ফসল ও আলুসহ নানাবিধ ফল-ফসল, শাক-সবজি ক্ষেত ডুবে যেতে পারে। এতে করে সম্ভাব্য ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি অপরিবর্তিত রয়েছে। এটি গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘনীভূত হয়নি। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায়ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা আরও কমে এসেছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙ্গামাটিতে ৩৩.৮ এবং সর্বনিম্ন কুষ্টিায়ায় ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৯.৫ এবং সর্বনিম্ন ২৪.৫ ডিগ্রি সে.।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন