পরিবারকে বলা হয় প্রাথমিক শিক্ষালয়। প্রাতিষ্ঠানিক হাতেখড়িটা সবার পরিবারেই হয়। এরপর সারাজীবন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই দায়িত্ব পালন করে একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে তৈরি করতে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হয় শিক্ষককে। আজ ৫ অক্টোবর সারাবিশ্বের শিক্ষকদের সম্মানে গৃহীত দিবস। ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ আজ। শিক্ষকরা যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতেই দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রা।
দিবসটির পটভূমিতে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী শিক্ষক ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশন এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (ইআই) ও এর ৪০১টি সংগঠন এ দিবসের ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। এ সংগঠন শিক্ষা পেশার অবদানকে তুলে ধরে প্রতিবছর জনসচেতনতা মূলক প্রচার চালায়। এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে সব দেশে স্বীকৃতি এবং উদযাপিত হওয়া উচিত। শিক্ষকদের অধিকার, করণীয় ও মর্যাদা সুরক্ষায় ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৪৫টি সুপারিশ গৃহীত হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে শিক্ষকদের মৌলিক ও অব্যাহত প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, দায়িত্ব ও অধিকার, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা অন্যতম। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ অনুমোদন করে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম অনুষ্ঠানে ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবার দিবসটি পালন করা হয়। তবে ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে শিক্ষকরা মোটা দাগে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন শুরু করেন। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে তা’ হয়ে আসছে। ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষা ও উন্নয়নে শিক্ষকরা বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা, উপলব্ধি সৃষ্টি ও শিক্ষকদের ভূমিকার স্বীকৃতিস্মারক হিসেবে দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক বিপর্যয় বা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে শিক্ষকরা তাদের ভূমিকা রেখে চলেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন