কুষ্টিয়ায় ইজিবাইকচালক সুজন সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের দায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দী।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল ইসলাম আসাদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর দত্তপাড়া এলাকার খন্দকার ইউনুস আলীর ছেলে। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কয়ারগাছি এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ এবং একই উপজেলার বড়খড়িখালি এলাকার গনি মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্ত আসামি শরিফ ও রাজু আদালতে উপস্থিত ছিল। মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত আসামি আসাদ পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ দুপুরের দিকে ইজিবাইক চালক সুজন সিকদার ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। নিখোঁজের পরের দিন ২৯ মার্চ সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় একটি লিচু বাগানের মধ্যে সুজনের গলা, পেট, নাভি, পিঠে এলোপাতাড়িভাবে কোপানো রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।
আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে সুজনকে হত্যা করে তার ভাড়ায়চালিত ইজিবাইকটি নিয়ে যায়। ওই দিন নিহতের ভাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতী এলাকার মৃত মুনজিল সিকদারের ছেলে আলমগীর সিকদার বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শহিদুল্লাহ আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন