মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিপর্যস্ত টেলিযোগাযোগ সেবা

এমটবের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৫ এএম

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে গতকাল রাজধানীসহ দেশের বড় এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এতে অন্যান্য সেবার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ সেবাও বিপর্যস্ত হয়। দুপুরের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে বিঘ্ন হওয়ার কথা বলা হয়। বিশেষ করে মোবাইল ইন্টারনেট ও খুদে বার্তা পাঠাতে সমস্যার সম্মুখিন হন গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে নেটওয়ার্কের সমস্যা সৃষ্টি হলে অনেকেই কল করতে ব্যর্থ হয়েছেন, কেউ কেউ কিছু ক্ষেত্রে কল করতে পারলেও সেজন্য একাধিকবার চেষ্টা করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রাহকরা।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) জানায়, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন সমস্যা হচ্ছে। সাময়িক সময়ের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হতে পারে। সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের প্রতি এমটবের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ নির্বিঘ্ন রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বেজ ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস), যা মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত। কোনো কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে জেনারেটর দিয়ে ২ থেকে ৫ ঘণ্টা বিটিএস চালু করা যায়। কিন্তু দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে তখন জেনারেটর দিয়েও বিটিএসের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয় না। অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ৩৩ হাজার টাওয়ার ও বিটিএসে সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ১২ হাজার, রবির ১১ হাজার এবং বাংলালিংকের ৯ হাজার সাইটে রয়েছে। কেননা, ঢাকার বাইরের বিটিএসগুলো সাধারণত দু’তিন ঘণ্টা ব্যাকআপ দেয়।

নেটওয়ার্ক সচল রাখতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, এটা জাতীয় বিপর্যয়। নেটওয়ার্ক সচল রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ১ হাজার বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) ক্রিটিক্যালি অ্যাফেক্টড হয়েছে। জেনারেটর দিয়ে যতটুকু সম্ভব ব্যাকআপ দেওয়ার চেষ্টা চলেছে। আমি প্রতিনিয়ত অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সম্মিলিতভাবে এ বিপর্যয়ে সেবা সচল রাখার চেষ্টা করেছি।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্যানুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। গতকাল বেলা ২টা ৫ মিনিটে একযোগে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন