মনির হোসেন। বয়স ত্রিশের কোঠায়। দেখতে একেবারে ভবঘুরে টাইপের। অথচ এই চেহারার আড়ালে সে এক ভয়ঙ্কর চোর। গ্রিল কেটে অন্তত অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা একাই ঘটিয়েছে মনির। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ৪-৫টি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। গত ১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মোহাম্মদীয়া হাউসিং লিমিটেডের ৩ নম্বর রোডে অবস্থিত রাইটস আ্যন্ড সাইট ফর চিল্ড্রেন (আরএসসি) নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ের গ্রিল কেটে আলমারি থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা চুরি করে মনির। আরএসসি প্রতিষ্ঠানটি অনাথ ও পথশিশুদের আশ্রয় এবং পড়াশোনা করতে সহযোগিতা করে।
প্রতিষ্ঠানটিতে চুরির ঘটনায় এর ম্যানেজার আব্দুন নাসের রোমেল বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মনিরের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে কেরানীগঞ্জ থানার তারানাগর ইউনিয়ন থেকে মনির হোসেন নামের এই পেশাদার চোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় চুরি যাওয়া সাড়ে ১২ লাখ টাকার মধ্যে ৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক।
তিনি বলেন, চুরি হওয়া অফিসের ভিতরে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে একজন চোর অফিসের পূর্ব পাশের জানালার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে এবং ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বের হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মনিরকে গ্রেপ্তার এবং চুরি হওয়া টাকার একটা বড় অংশ উদ্ধার করে। বাকি টাকা দিয়ে সে জুয়া খেলা, নেশা করাসহ কয়কজনকে দান করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঢাকা ও আশপাশ এলাকার অর্ধশতাধিক বাসায় গ্রিল কেটে চুরি করেছে মনির। চুরি করাই তার পেশা। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, তেজগাঁও এবং কেরাণীগঞ্জ থানায় মাদক ও চুরির একাধিক মামলা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন