রাজধানীর উত্তরার গরীবে নেওয়াজ অ্যাভিনিউয়ের যে বারে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল সে বারটি বৈধভাবেই চলছিল বলে দাবি করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। কিন্তু গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) দাবি, বারটি অবৈধ। বারের নাম কিং ফিশার বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে সেটি ছিল লেকভিউ রেস্টুরেন্ট। দেশে যেকোনো জায়গায় মদ বিক্রি ও অসামাজিক কার্যকলাপ হলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। উত্তরায় বারে অভিযান চালানোর সময় ডিএনসির কোনো কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। গতকাল সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব। পুলিশ বা অন্যান্য সংস্থা আমরা নিয়মিতই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। আইনগত প্রক্রিয়া মেনেই আমরা কাজটা করে থাকি। দেশের যেকোনো জায়গায় মদ বিক্রিসহ অসামাজিক কার্যকলাপ করলে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করতে পারবে। এই কাজটা আমরা সব সময় করে আসছি এবং ভবিষ্যতে করে আসবো। আমাদের দয়িত্ব হচ্ছে প্রজন্মকে রক্ষা করা।
তিনি আরো বলেন, এখন অবৈধ বারের মধ্যে যদি উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা সারা রাত ডিজে পার্টির নামে মদ্যপান করে পরিবেশ নষ্ট করে তাহলে এটি আমাদের ও আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই গুলশান বনানী ও উত্তরা এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক আমাদের কাছে এ ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে যোগাযোগ করেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন তো আমাদেরই সহযোগী-সহকর্মী। উত্তরার অভিযানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তাকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। আমাদের টিম রাত ৯ টা থেকে ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেছে। যেখানে যেখানে মদ পাওয়া গেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
উত্তরার অভিযানের বিষয়ে ডিএনসিকে ডিবি জানিয়েছে কিনা বা তাদের সহযোগিতা চেয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৩ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে কারা অভিযান পরিচালনা করবে, আর কারা করতে পারবে না। যেখানে অসামাজিক কার্যকলাপ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হবে সেখানে পুলিশ অভিযান চালাতে পারবে সেটা বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন