জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৭ হাজার ১৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা পাওয়া যাবে ২ হাজার ৩৮৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত সচেতন ও সতর্ক রয়েছি। কল্যাণমূলক ও অতি প্রয়োজনীয় এমন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকা শহরের দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার খাল পুনরুদ্ধার, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নাগরিক সেবার মান্নোয়নে ‘খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতা যেমন দূর হবে, তেমনি আমরা একটা পরিচ্ছন্ন নগরী পাবো। মশার প্রকোপ কমে যাবে।’
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৬২৯ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং বাকী ২৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা পাওয়া যাবে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে। অক্টোবর ২০২২ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে- সীম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ‘ইমপ্রুভিং দ্য রিহ্যাবিলিটি এন্ড সেফটি অন ন্যাশনাল হাইওয়েজ করিডোরস অব বাংলাদেশ বাই ইনট্রোডাকশন অব ইনটেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস)’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। ঘোনাপাড়া হতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ (শেখ লুৎফর রহমান সেতু এ্যাপ্রোচসহ) সড়কাংশ যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন