বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম বাহানুর রহমান বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে নিরাপদ খাদ্য নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু এই খাবারে যদি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়, তাহলে সেই খাবার মোটেও নিরাপদ নয়, তাই মূল বিষয় হচ্ছে কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি যতটা সম্ভব কমানো যায়। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ‘ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ ও অন্ত্রের ভারসাম্যের নতুন যুগ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে এম.এ.এস এডিটিভস, বাংলাদেশ ও সিটিসি গ্লোবাল, সাউথ কোরিয়া।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মাল্টি-ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠছে, যার ফলে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অনেক বেশি আলোচিত এবং এই এএমআরের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হল ব্যাকটেরিওফেজ। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ব্যাকটেরিওফেজের বিচ্ছিন্নতা ও পরিশোধনের বিষয় তুলে ধরেন। একই অনুষ্ঠানে সিটিসি গ্লোবালের সেলস ডিরেক্টর ড. কেলেব লি বলেন, এক্সেলশিও একটি নেতৃস্থানীয় ব্যাকটেরিওফেজ ফিড সংযোজক যা মাত্র ১০-২০ মিনিটের মধ্যে টার্গেট ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এটি খুব দ্রুত এবং দৃঢ়ভাবে কাজ করে এবং এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এর কাজের পদ্ধতিটি কেবল অন্ত্রে নয় বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রেও, খামার সাইটেও।
এটি মুরগির এফসিআর কমায়, গোশত বাড়ায়, ডিমের উৎপাদন বাড়ায় এবং মৃত্যুহার কমায়। এর গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এতে ব্যাসিলাস সাবটিলস রয়েছে যা প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে, তাই একই পণ্য ব্যাকটেরিওফেজ এবং প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে, সর্বোপরি এটি ১৮ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর।
উল্লেখ্য, সিটিসি গ্লোবালের পণ্য এক্সেলশিও এদেশে এম.এ.এস এডিটিভস, বাংলাদেশের মাধ্যমে বাজারজাত হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এম.এ.এস এডিটিভস, বাংলাদেশের সিইও ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম, জিএম (অপারেশন) মো. হামিদুল্লাহ, জিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ম্যানেজার (অপারেশন) মো. বাদল হোসেন, বিজনেস ম্যানেজার ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ডা. নূর মোহাম্মদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন