তেলের উৎপাদন কমানো নিয়ে সউদী আরবকে হুঁশিয়ারি দেয়ার একদিন পরই আবার সুর নরম করলো যুক্তরাষ্ট্র। তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত এক মাস পেছাতে সউদী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন। দেশটির মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখেই ওপেক প্লাসের নেয়া সিদ্ধান্ত বাইডেন প্রশাসন মেনে নিচ্ছে না বলে মনে করছে সউদী।
তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে ওপেক প্লাস জোটের নেয়া সিদ্ধান্তের জেরে সউদী আরবের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে যুক্তরাষ্ট্রের। গত সপ্তাহে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় সউদী আরবের নেতৃত্বাধীন তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন ওপেক প্লাস। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন কমালে, তেলের দাম আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আর এতেই আপত্তি তোলে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে রিয়াদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার স্বার্থরক্ষার অভিযোগ আনে ওয়াশিংটন। তেল উৎপাদন কমালে রাশিয়ার আয় বাড়ার পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মস্কোর ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা কমে যাবে। এতে রাশিয়া লাভবান হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে এ অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করছে সউদী আরব।
এর আগে ওপেক প্লাসের তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত ‘পুরোপুরি অর্থনৈতিক’ বলে দাবি করলেও এ জন্য সউদী আরবকে ফল ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ঘটনার একদিন না পেরোতেই এবার জোটের সিদ্ধান্ত এক মাস পেছাতে সউদী আরবকে আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
এ অবস্থায় সউদী আরব মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখেই ওপেক প্লাসের নেয়া সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছে না বাইডেন প্রশাসন। আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন। এতে অংশ নেবে বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টিও। এ সময় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়া, বিশেষ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে ভোটে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এমন শঙ্কায় সউদী আরবকে এ আহ্বান জানিয়েছে বলেও মনে করছে রিয়াদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন