বহুল আলোচিত চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোশাররফ হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর পলাতক ছিলেন। গত রোববাার রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-২ এর এএসপি মো. ফজলুল হক বলেন, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। গ্রেফতারকৃত মোশাররফ নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেও তিনি পলাতক থাকেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোশাররফ হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহর (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। হাইকোর্টে রায় ঘোষণার সময়ও মোশাররফ পলাতক ছিলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। জাল সার্টিফিকেট বিক্রি করতেন তিনি: জাল সার্টিফিকেট ও ভুয়া এনআইডি কার্ড প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা মো. সাইফুল ইসলামকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।গত রোববার রাতে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় সাইফুলের কাছ থেকে ১টি জাল সার্টিফিকেট, ৩টি ভুয়া এনআইডি কার্ড, ১ কম্পিউটার ও ১টি প্রিন্টার জব্দ করা হয়।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, সবুজবাগে খাজানা কম্পিউটার অ্যান্ড স্টুডিও নামক দোকানে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া এনআইডি ও সার্টিফিকেট তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করতেন সাইফুল। তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে র্যাব-৩ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে স্বল্প শিক্ষিত ছাত্র/ছাত্রী এবং নিরীহ মানুষের সরলতার সুযোগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট এবং ভুয়া এনআইডি কার্ড সরবরাহ করতেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন