কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ পাচ্ছে। এর মধ্যে বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফ’র কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। যদিও কোটা অনুযায়ী আইএমএফ’র কাছ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে পারত বাংলাদেশ। তবে, বাংলাদেশ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাজেট সহায়তা তহবিলের সুবিধা হলো এটি পাওয়া তুলনামূলক সহজ। করোনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সৃষ্ট বৈশ্বিক সঙ্কট ও বাংলাদেশে এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। এসব ঋণের বিপরীতে কঠিন কোনো শর্ত থাকছে না। অনেকটা সহজ শর্তেই এসব ঋণ পাওয়া যাবে। আগামী ২৭ অক্টোবর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল এই ঋণ নিয়ে পরবর্তী আলোচনার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। তবে আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনা ও রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে কিছু বিষয়ে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। ঢাকায় আগত মিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবে। ঋণের একটি অংশ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ছাড় হবে। ফলে ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে ডলারের সঙ্কট আর থাকবে না। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ’র বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকে অংশ নিতে অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে রয়েছে। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বৈঠক গত ১০ অক্টোবর শুরু হয়েছে। ১৬ অক্টোবর বৈঠক শেষ হয়েছে।
এদিকে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণ সহযোগিতা দেশের জন্য সুখবর হলেও উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন সমস্যাসহ দেশের নানাবিধ সমস্যয় এই অর্থ পেতে বিপাকে পড়তে হয়। অবশ্য এক্ষেত্রে উন্নয়নসহযোগীদের নানা শর্তের পাশাপাশি প্রকল্প শুরু হতে বিলম্ব, তৎপরতার অভাব এবং সরকার ও ঋণদাতার মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকে ঋণের অর্থ পেতে বিলম্বের জন্য দায়ী বলে জানা গেছে। আর এসব কারণে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি পাইপলাইনে আটকে আছে। বর্তমানে পাইপলাইনে জমে আছে অলস অর্থের পাহাড়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সময়মতো বিদেশি অর্থছাড় না হওয়ায় প্রতি বছরই পাইপলাইনে জমছে অলস অর্থ। ইআরডির তথ্য অনুযায়ী, উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া প্রতিশ্রুতির ৫০ দশমিক ৩ বিলিয়ন (৫ হাজার ৩০ কোটি) ডলার এখনও অব্যবহৃত অবস্থায়, অর্থাৎ ছাড়ের অপেক্ষায় আছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ লাখ কোটি টাকার সমপরিমাণ। এ পরিমাণ অর্থ দিয়ে কমপক্ষে ১৫টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। যদিও অর্থছাড়ে দেশের সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, দু’পক্ষের মধ্যে সমন্বয়, প্রকল্পের জটিল কারিগরি নকশা, বাস্তবায়নের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা জটিল হওয়া, প্রকল্পের অপর্যাপ্ত কর্মী, বিবরণে অসঙ্গতি এবং অপর্যাপ্ত এডিপি বরাদ্দের প্রাপ্যতা ইত্যাদি নির্ভর করে। তাই উন্নয়নসহযোগীদের ঋণের অর্থ ছাড়ে বিলম্ব যাতে না হয়, সেজন্য এসব বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও ইআরডি’র পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি ও অর্থছাড় দুইটাই কিছুটা কমেছে। এ সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতিশ্রুতি কমেছে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ আর অর্থছাড় কমছে ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) করোনার সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭১০ কোটি (৭ দশমিক ১ বিলিয়ন) ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিদেশি ঋণ আসে বাংলাদেশে। ওই বছর ৭৩৮ কোটি (৭ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন) ডলার ঋণ পাওয়া গিয়েছিল। বাংলাদেশে বিদেশি ঋণ বাড়তে থাকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে। ওই বছরই এক লাফে অর্থছাড় ৩০০ কোটি থেকে ৬৩৭ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসেছিল ৬৫৪ কোটি ডলার।
সূত্র মতে, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বৈঠকে এবারে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। যিনি এর আগে অর্থসচিব ছিলেন। একাধিকবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে এ সভায় যোগ দিয়েছেন। গভর্নরের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। যিনি এর আগে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। তাই এ বছর আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বৈঠকে সঠিকভাবে নেগোসিয়েশন করা সম্ভব হয়েছে বলেই কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই বড় অঙ্কের এ ঋণ মিলছে বলে ওয়াশিংটনে যাওয়া প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা জানিয়েছেন।
বৈঠক শেষে আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, আইএমএফের কাছে চাওয়া ঋণের বিষয়ে তারা ইতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করেছে। অচিরেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হবে। এবার ঋণ পেতে বাংলাদেশকে কঠিন কোনো শর্ত পালন করতে হবে না। কারণ উন্নয়ন সহযোগীরা যেসব বিষয়ে সংস্কার করতে পরামর্শ দিচ্ছে এগুলো সরকারের কার্যসূচিতেও রয়েছে। এগুলো নতুন কোনো বিষয় নয়। সরকার নিজ থেকেই এগুলো করতে চায়। ফলে আইএমএফ থেকে কঠিন শর্তে ঋণ নিচ্ছে বলে যে সমালোচনা রয়েছে এটি ঠিক নয় বলে উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। তিনি বলেন, আইএমএফ থেকে দুটি খাতে ঋণ পাওয়া যাবে। আইএমএফ’র ঋণ পেলে অন্য উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি’র ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা আইএমএফ ঋণ দিলে ওই দেশকে অন্য সব সংস্থাই ঋণ দিতে কোনো সমস্যা বোধ করে না।
আব্দুর রউফ বলেন, আইএমএফের রেজিলিয়েন্স ও সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) তহবিল থেকে এ ঋণ চাওয়া হয়েছে। চলমান সঙ্কটের কারণে বিভিন্ন দেশ যাতে আর্থিক অভিঘাত প্রতিহত করতে পারে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে, সেজন্যই সম্প্রতি আইএমএফ এ তহবিল সৃষ্টি করেছে।
আইএমএফ’র গাইডলাইন অনুযায়ী, এর কোনো একটি খাত থেকে ঋণ নিতে চাইলে অন্যান্য খাতগুলো থেকেও তহবিল নিতে হবে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) খাত থেকে ঋণ চেয়েছে। তিনি বলেন, বাজেট সহায়তা হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) তহবিল থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ও গ্রিন রেজিলিয়েন্ট ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট (জিআরআইডি) তহবিল থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাজেট সহায়তা তহবিলের সুবিধা হলো এটি পাওয়া তুলনামূলক সহজ। সে কারণেই আমরা এ তহবিলকে অগ্রাধিকার দিয়েছি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেশ কমে এসেছে। অন্যান্য পণ্যের দামও কিছুটা কমছে। আগামীতে আরও কমবে বলে তিনি আশাবাদী। পণ্যের দাম কমতে থাকলে আমদানি ব্যয়ও কমে যাবে। ফলে নতুন করে আর কোনো সঙ্কট দেখা না দিলে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ ডলার সঙ্কট কেটে যাবে।
দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস (বিওপি) বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, গত ৩ মাসে চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের ওপর চাপ কমেছে। কারণ এ সময়ে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় মোট আমদানি বিলের সমান। তিনি বলেন, বকেয়া এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) পরিশোধ করা হলে চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের ওপর চাপ আরও কমবে। আমি মনে করি, যদি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, তাহলে নভেম্বর-ডিসেম্বরের পরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ থাকবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সূত্র মতে, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপুল চাপের মুখে পড়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের দামবৃদ্ধির কারণে আমদানি বিল বেড়ে গেছে। এ কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমছে। গত এক বছরে কমেছে ১০ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। গত রোববার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য গত বছরের এই সময়ে পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। সূত্র জানায়, মূলত প্রকল্পে সহায়তার অর্থছাড় নির্ভর করে প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর। অন্যদিকে বাজেট সহায়তা অর্থ চুক্তি সই হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে ছাড় করা হয়। আর আইএমএফ’র ইসিএফ থেকে নেয়া ঋণে সুদ ও মাসুল দিতে হয় না। ১০ বছর মেয়াদি এ ঋণ পরিশোধে সাড়ে ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডও রয়েছে। বাকি দুটি তহবিল থেকে দেয়া ঋণের সুদহার ১ দশমিক ৫৪ থেকে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ এর আগে আইএমএফ থেকে চারবার ঋণ নেয়। প্রথমবার ঋণ নেয়া হয় ১৯৯০-৯১ সময়ে। এরপর ২০০৩-২০০৪, ২০১১-১২ এবং সর্বশেষ ২০২০-২১ সালে সংস্থাটি থেকে ঋণ নেয় বাংলাদেশ। তবে কোনোবারই ঋণের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়ায়নি। সদস্য হিসেবে আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ বছরে ১০০-১৫০ কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার যোগ্য। তবে এবার প্রতিবছর ১৫০ কোটি ডলার করে ৩ বছরে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চায় সরকার। বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য গঠিত সহনশীলতা ও টেকসই তহবিল (আরএসএফ)-আইএমএফের এই তিন কর্মসূচি থেকে আলাদা করে ঋণ চাওয়া হয়।
ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের উপ-পরিচালক অ্যানে ম্যারি গোল্ড ওলফ বলেছেন, ঋণের বিষয়ে কথা বলতে আগামী সপ্তাহে আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাব। তিনি বলেন, টাকার মান প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। একইসঙ্গে রিজার্ভও কমে গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় আছে, তবে, প্রতিনিয়তই তা কমছে। আমরা আনন্দিত, বাংলাদেশ তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে আইএমএফের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন অ্যানে ম্যারি গোল্ড ওলফ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভগের প্রফেসর ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে প্রকল্প সহায়তা ছাড়ের ক্ষেত্রে আরও কৌশলী হতে হবে। বাস্তবায়ন গতি বাড়াতে আমলতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। একই সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতাও বাড়াতে হবে।
আইএমএফ’র সাবেক কর্মকর্তা ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এ নিয়ে বলেন, আইএমএফের থেকে ঋণ নিতে পারলে তো ভালো। এখন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা এগিয়ে আসবে। কারণ আইএমএফ যেখানে ঋণ দেয় সেখানে অনেক শর্ত থাকে বা ওই দেশের সক্ষমতা যাচাই করা হয়। তিনি বলেন, তবে এবার ঋণের ব্যাপারে আইএমএফও নমনীয়। এখন সরকার সরকার যদি তাদের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করে নিতে পারে তা হলে তো ভালো। সরকার সঙ্কটের কথা চিন্তা করে যে আগেই আইএমএফ’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এটা ভালো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন