জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, জাতির পিতার অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। এরপর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি। এর মধ্য দিয়ে দেশে অন্ধকার নেমে আসলে জনগনের আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভুত হন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশকে তিনি নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলার দিকে। শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিস্ময়কে দেশে-বিদেশে সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।’
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে ড. হাফিজ মো. হাসান বাবুর রচিত ‘ওয়ার্ল্ড লিডার শেখ হাসিনা, দ্য পাইওনিয়ার অব গোল্ডেন বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বইটির লেখককে ধন্যবাদ জানান ও বইটির সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের দিকে মনোনিবেশ করেন। অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়নের লক্ষ্য নির্ধারন, দ্বিতীয় বিপ্লব ও সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচী গ্রহণ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গঠন ও সত্যিকারের সোনার বাংলা বিনির্মানে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল তখন ঘাতকরা তাকে সপরিবারে হত্যা করে। এরপর দেশের মানুষকে আপন করে, ঘাতকদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দেশে ফিরেন পরিবার হারানো নিঃস্ব, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর পিতার অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পন্ন করতে জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নামেন, মানুষকে দেখান উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে হয়ত স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতেন। তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এত সংগ্রাম করতে হত না।
অনুষ্ঠান শেষে ডেপুটি স্পিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে নাট্যকার, সাংস্কৃতিক জগতের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মাসুম আজিজের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া করেন।
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবুর সভাপতিত্বে ও ড. সেজুতি রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম নাসিফ শামসসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন