বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেদের কর্তৃত্ব খর্ব করে ঋণখেলাপিদের বিশেষ ছাড় দিয়ে জারিকৃত পরিপত্রের চারটি ধারা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রিটের শুনানি শেষে গত মঙ্গলবার বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচার সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরসহ সংশ্লিষ্ট ৮ জনকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিনউদ্দিন।
রুলের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, গত ১৮ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক একটি পরিপত্র জারি করে। পরিপত্রের চারটি (৪, ৫, ৬, ৯) ধারা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে গত ২২ জুলাই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জারি করা পরিপত্রের ৪(২) (৩), ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট ফাইল করি।
প্রাথমিক শুনানিতে আমরা বলেছি, ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিতে নিজেদের ক্ষমতা খর্ব করে বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরিপত্র জারি করেছে। দেশের ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা এবং ক্লাসিফাইড ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখিয়ে ঋণখেলাপিদের ওই ছাড় দেয়া হয়েছে। রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে আমরা আরও বিস্তারিত তুলে ধরবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন