শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সমিতির ব্যানারে ৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ

কথিত হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ শেল্টারদাতাসহ গ্রেফতার-১২

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যানারে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে খন্দকার আবুল কালাম আজাদ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া তথাকথিত হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ হয়েছে এমন কয়েকজনসহ তাদের যারা উদ্বুদ্ধ করেছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে এমন ১২ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়ে র‌্যাব বলেছে বাকিদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০০৩ সালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে খন্দকার আবুল কালাম আজাদ জনতা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে কুষ্টিয়া, খুলনা, মাগুরা, ঝিনাইদহ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটি উচ্চ মুনাফায় প্রলুব্ধ করে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের কাছ থেকে ডিপিএসের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা জামানত সংগ্রহ করে। ২০১৭ সালে সমিতির গ্রাহক সংখ্যা ৭-৮ হাজার হয় এবং গ্রাহকরা ১০ হাজার থেকে শুরু করে ১৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানত রাখে। ওই বছরে আঞ্চলিক সকল অফিস গুটিয়ে ঢাকায় গা ঢাকা দেন আজাদ। মাঠ পর্যায়ে অর্থ সংগ্রহে জড়িত ৮ শতাধিক কর্মীকে সামান্য কমিশন দিতেন। ভাড়ার টাকা তার প্রতিষ্ঠানে জমা করলে নির্ধারিত সময় পর তিনগুণ ফেরত দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে টাকা না দিয়েই অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যান তিনি।


বিভিন্ন থানায় চেক জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ ৩৬টি ওয়ারেন্টসহ মোট ৬০টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কল্যানপুরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে।
একই সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তথাকথিত হিজরতের নামে নিরুদ্দেশ হওয়াসহ তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এমন ১২ জনকে গ্রেফতার করেেেছ র‌্যাব। নিরুদ্দেশ জঙ্গিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ও অবস্থান করছে। এরপরই পার্বত্য এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। মূলত তাদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান চলছে। তিনি বলেন, র‌্যাবের অভিযান নিয়ে উপস্থাপন করা তথ্যগুলো ভুল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন