শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রেড জোনে বাজার

নগরবাসীর চরম ভোগান্তি

একলাছ হক : | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজধানীর রেড জোনে আবারও বসেছে দোকান। আগের মতোই জমজমাট কেনাবেচার কারণে ফুটপাথ দখল হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও মূলরাস্তাও চলে গেছে হকারদের দখলে। একারণে নগরবাসীকে রাস্তায় চলতে হচ্ছে কষ্ট করে। পর পর কয়েকদিন অভিযান চালালেও সেই রেড জোন আবার হকারদের দখলে চলে গেছে। ব্যবসা করছেন তারা আগের মতোই। উচ্ছেদের পর যে ফুটপাথ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল, তাতে এখন চলাচল করা কষ্টকর।

ইতোমধ্যে বঙ্গভবন থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারগামী ও ফ্লাইওভার থেকে গুলিস্তান চত্বর পর্যন্ত সড়ককে রেড জোন ঘোষণা করে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিএসসিসি।
সরিয়ে দেয়া হয় দখলদারদের। ফুটপাথ থেকে সহস্রাধিক হকার উচ্ছেদ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের চলাচল, সচিবালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অবস্থান ও ঢাকার নির্গমন ও বহির্গমনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় মেয়র হানিফ উড়াল সেতু থেকে সচিবালয় ও গুলিস্তান চত্বর এলাকাকে রেড জোন বা হকারমুক্ত এলাকা ঘোষণা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ এলাকায় ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। দোকান উচ্ছেদ ও জরিমানা করা হয়। কিন্তু এই উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা এখনো বন্ধ হয়নি। পুরোদমেই ব্যবসা করে যাচ্ছেন হকারারা।

সরেজমিন দেখা যায়, গুলিস্তান কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তা দখল করে ফেলেছেন হকাররা। হকি স্টেডিয়ামের সামনে থেকে পাতাল মার্কেট, ঢাকা ট্রেড সেন্টারসহ প্রায় সব ফুটপাথ আবার হকারদের দখলে। ফুটপাথে পলিথিন দিয়ে ছাউনি বানিয়ে কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকাররা। অভিযানের সময় পলিথিনের ছাউনি ও বাঁশের খুঁটি ও বেড়া উঠিয়ে নিলেও এখন আবার বসানো হয়েছে পাকাভাবে। অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে আনা হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। মাথার উপরে ঝুলছে সেই বিদ্যুতের তার। এগুলো থেকে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থেকেই যায়। গুলিস্তান মোড়ে ফুটপাথের টাকা নতুন নোটের ব্যবসায়ীর আগের মতোই বসেছেন তাদের দোকান সাজিয়ে।

ঢাকা ট্রেড সেন্টারের সামনে দোকান নিয়ে বসেছেন জালাল। তিনি তার চৌকিতে জুতার নিয়ে বসেছেন। তিনি বলেন, এই স্থানে অনেকদিন ধরে ব্যবসা করে আসছি। আমাদের একটা ব্যবস্থা করে দিলে ভলো হতো। উচ্ছেদ করা হলে আবার এখানেই বসবো। আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

চাকরিজীবী রাফায়েত উল্লাহ বলেন, হকারদের কারণে এই এলাকায় চলাই যায় না। তাদেরকে উঠিয়ে দিলে আবার এসে বসে পড়ে। চাঁদা দিয়ে দোকান চালায় তাই তাদের এতো সাহস। ফুটপাথ দখলের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ পথচারীদের।

দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ মুনিরুজ্জামান ইতোমধ্যে বলেছেন, হকাররা যতবার ফুটপাথ দখল করবে, আমরা ততবার অভিযান চালাব। মেয়রের কঠোর নির্দেশ আছে, কোনোভাবেই আর ফুটপাথ-রাস্তা দখল হতে দেয়া যাবে না। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে যান চলাচলের পরিমাণ বেড়েছে। তাই ফ্লাইওভার দিয়ে যান চলাচল ও জনসাধারণের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে গুলিস্তান জিরোপয়েন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্স পর্যন্ত এ উচ্ছেদ কার্যক্রম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন