সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মীরসরাইয়ে মহামায়া ইকো পার্ক সাজছে ১৮ কোটি টাকায়

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ৮নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃত্রিম লেক মহামায়া সেচ প্রকল্প। যেটি ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন। যেটিকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। পর্যটক আকর্ষণে নির্মাণ করা হচ্ছে তথ্য সেবাকেন্দ্র, টয়লেট, গাড়ি পার্কিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মহামায়া ও খৈয়াছড়া ঝরনাকে পর্যটনমুখী করতে ২০১৭ সালে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় মহামায়া সেচ প্রকল্পের জন্য ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই বছর মহামায়া সেচ প্রকল্প আধুনিকায়ন শুরু করে বন বিভাগ। আধুনিকায়নের মধ্যে রয়েছে তথ্য সেবাকেন্দ্র নির্মাণ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ব্যারাক নির্মাণ, টয়লেট নির্মাণ, গোলছাতা ঘর নির্মাণ, বনায়ন, গাড়ি পার্কিং এরিয়া, ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ লাইন সঞ্চালনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ।
আরো জানা যায়, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে চাষাবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মহামায়া সেচ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে মহামায়া ইকো পার্কে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ১৬৯ হেক্টর বনায়ন করা হয়েছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তথ্য সেবাকেন্দ্র কাম স্টাফ ব্যারাকের কাজ। নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক গোল ছাতা ঘর। তবে পিকনিক স্পটসহ অন্যান্য উন্নয়নকাজ এখনো শুরু হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ইকোপার্ক হওয়ার ফলে পাহাড় থেকে অনেক জীববৈচিত্র্য হারিয়ে গিয়েছে। আগে এসব পাহাড়ে বানর, হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি দেখা গেলেও এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সরকার নতুন করে বনায়ন করায় বিলুপ্ত প্রাণীগুলোর পুনরায় প্রজনন ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট ও নারায়ণহাট রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহম্মদ খান জানান, নতুন করে বনায়নের ফলে মহামায়ায় বিলুপ্ত প্রায় বন্যপ্রাণী ও উদ্ভিদের প্রজনন আবারো শুরু হবে। ফলে পর্যটনের পাশাপাশি জীববৈচিত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন