বিদেশ ফেরত রাসেল মিয়া (২৬) নামে এক তরুণকে চলন্ত বাসের ভেতরে অচেতন করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুদুল হক আপেলকে বাসযাত্রীরা হাতেনাতে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গুলিস্তানের পীর ইয়ামেনী মার্কেটের সামনের রাস্তা থেকে ওই তরুণকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকেই আটক করা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে।
শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের জানান, রাসেল আবুধাবি থেকে মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে পরিচয় হয় মাসুদুল হকের সঙ্গে। তারা দুজনেই ‘দিশারী পরিবহন’ নামের একটি বাসে করে গুলিস্তানের দিকে আসছিলেন। বাসের মধ্যে ওই ব্যক্তি বিদেশ ফেরত রাসেলকে বিস্কুট খেতে দেন এবং নিজেও খান। এরপরই অচেতন হয়ে পড়েন রাসেল। পরে বাসযাত্রীরা টের পেয়ে ঐ ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। এরপর গুলিস্তানে বাস থেকে নামিয়ে পুলিশে খবর দেয় তারা। তখন সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, রাসেল মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্টোমাক ওয়াশ করানোর পর মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক ওই ব্যক্তি নিজের নাম মাসুদুল হক আপেল বলে দাবি করেন। তিনি আরও দাবি করেন, তার বাড়ি জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। থাকেন খিলক্ষেত উত্তর পাড়ায়। তিনি ওই যুবককে নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো বিস্কুট খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে জানান, বিমানবন্দর এলাকায় বাসে উঠার আগেই রাস্তাতে একই জেলায় বাড়ি দাবি করে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর বাসে উঠে পাশাপাশি সিটে বসেন। তবে ভুক্তভোগী রাসেল মিয়ার বাড়ি সুমানগঞ্জের দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শিশু হত্যার অভিযোগে সৎ বাবা আটক: রাজধানীর কদমতলীর শ্যামপুর এলাকায় আবদুল্লাহ নামে চার বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ বাবা মো. রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। পরিবারের অভিযোগ, বিছানায় প্রস্রাব করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে রাতের যেকোনো সময় হত্যা করেন সৎ বাবা রাজু।
কদমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজিব দে বলেন, শিশুটির মা কলি আক্তারের অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ বাবা রাজুকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘুম থেকে উঠে আবদুল্লাহকে মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তার মা। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আমরা রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন