বিশ্ব এখন থেকে আগামী ছয় মাস খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে। প্রায় সব দেশেই সুদের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে। আবার মূল্যস্ফীতির মতো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জও অব্যাহত আছে। তবে এই ছয় মাস উপসাগরীয় অঞ্চলগুলো বেশ শক্তিশালী থাকবে। সম্প্রতি এমন ভবিষ্যতবাণী করেছেন সউদী আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান। ২৬শে অক্টোবর রিয়াদে ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফোরামে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, এই অর্থনৈতিক সংকটে কঠিন সময়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলির পাশে থাকবে সউদী আরব। তার ভাষায়, অঞ্চলটি মূলত দুটি এলাকায় বিভক্ত। একটি হল উপসাগরীয় অঞ্চল। তাদের জন্য, পরবর্তী ছয় মাস এবং সম্ভবত পরবর্তী ছয় বছরও খুব ভাল হবে। তবে বাকিদের জন্য এই সময় বেশ কঠিন হতে চলেছে। সেসময় তাদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব। আল-জাদান আরও বলেন, আমি মনে করি বিশ্বব্যাপী আমাদের আরও সাহায্য ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। এটি বিশ্বে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসবে এবং আমরা এখন এটাই করছি। সউদী অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, ম্যাক্রো-ফাইনান্স এবং বিনিয়োগের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং পূর্বাভাসযোগ্যতা প্রয়োজন। আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব এখন যে কয়েকটি গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার মধ্যে এটি একটি। শুধুমাত্র এক দেশের প্রচেষ্টায় এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সব দেশের সহযোগিতা ও সহযোগিতা করা উচিত। তিনি বলেন, বিশ্ব আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কিত সমস্যা মোকাবেলা করার চেষ্টা করছে। বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলো আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করছে। এই অঞ্চলে আমরা কার্বন নির্গমন কমাতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির পেছনে অনেক বিনিয়োগ করছি। সম্মেলনে যোগ দেয়া বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী শেখ সালমান বিন খলিফা আল-খলিফা বলেছেন, বিশ্ব বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ইউরোপে সংঘাতের কারণে সাপ্লাই চেইনের ব্যাঘাত ঘটেছে। আর এতে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। এখন সারা বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানীর দাম বাড়ছে। এটি একটি বড় সমস্যা। তবে শিপিং খরচ হ্রাস পাওয়াকে বড় ইতিবাচক দিক বলে উল্লেখ করেন বাহরাইনের অর্থমন্ত্রী। লিবার্টি স্ট্র্যাটেজিক ক্যাপিটালের ব্যবস্থাপনা অংশীদার স্টিভেন মুচিন বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা জাতীয় নিরাপত্তার একটি অংশ। আমি বিশ্বাস করি যে আগামী পাঁচ বছরে, আমরা কার্বন হ্রাসের প্রযুক্তিতে অসাধারণ অগ্রগতি দেখতে যাচ্ছি। শুধুমাত্র কার্বন কমিয়ে আনার মাধ্যমেই আবহাওয়া পরিবর্তনের স্বল্পমেয়াদী সমাধান সম্ভব। এটি স্পষ্টতই একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং এটি মোকাবেলা করা দরকার। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন