যথাসময়ে আমদানি বিলের দায় পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। না করলে এডি (বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী শাখা) লাইসেন্স বাতিল করা হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের বৈদেশিক লেনদেনে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, যথাসময়ে আমদানি বা স্বীকৃত বিলের দায় পরিশোধের বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়, যা যথাযথভাবে পরিপালিত না করায় বৈদেশিক বাণিজ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে যথাসময়ে বৈদেশিক ও স্থানীয় স্বীকৃত বিল পরিশোধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা যথানিয়মে পরিপালন নিশ্চিত করতে সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখাকে পুনরায় নির্দেশনা দেওয়া হলো। এখন থেকে যথাসময়ে স্বীকৃত দায় পরিশোধের ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট এডি লাইসেন্স বাতিলসহ দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতই তীব্র ডলার সঙ্কট বিরাজ করছে বাংলাদেশেও। ডলার সঙ্কটের কারণে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার হার কমেছে ৩১ দশমিক ১৬ শতাংশ। আমদানিকারকরা সেপ্টেম্বরে ৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের এলসি খুলেছেন, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ৮ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার। কারখানার যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মতো সব ধরনের আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। কিন্তু সঠিক সময়ে আমদানি বা স্বীকৃত বিলের দায় পরিশোধ না করলে দেশের সুনামক্ষুন্ন হয়, এতে করে বৈদেশিক বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন