জালিয়াতি মামলায় এবার দোষী সাব্যস্ত করা হল হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী ধনকুবের তথা মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে। সরকারের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে লাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল হংকংয়ের একটি আদালতে। মঙ্গলবার সেই মামলায় রায়দান করেন বিচারক।
বিতর্কিত নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে আগেই গ্রেপ্তার করা হয় মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে। তারপর থেকে জেলেই আছেন তিনি। হংকংয়ের গণতন্ত্রকামীদের অন্যতম মুখ তিনি। বরাবরই বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ‘নেক্সট ডিজিটালl’ মিডিয়া সংস্থার কর্ণধার লাই। চীন-বিরোধী খবর প্রকাশের জন্য বছরখানেক আগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জিমির সংস্থার সংবাদপত্র ‘অ্যাপল ডেইলি’-কে। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে লাই সাফ জানিয়েছিলেন, হংকংয়ে থেকেই তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবেন। নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাকে নিশানা করবে বেইজিং বলে সেখানে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন লাই। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘অ্যাপল ডেইলি’র দপ্তরের জন্য জায়গা নিয়ে সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছিলেন জিমি লাই। সেই চুক্তির শর্তভঙ্গ করে জালিয়াতি করেছেন তিনি। মঙ্গলবার হংকংয়ের একটি আদালত এই মামলায় লাইকে দোষী সাব্যস্ত করে। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন পরেই জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে একটি মামালার শুনানি রয়েছে লাইয়ের বিরুদ্ধে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে ৭৪ বছরের ওই ব্রিটিশ নাগরিকের যাবজ্জীবন জেলের সাজা হতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও গণতন্ত্রকমীদের অভিযোগ, জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রচনা করেছে বেইজিং। ভুয়ো অভিযোগে তাকে ফাঁসিয়েছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এদিকে, লাইয়ের সাজার তীব্র নিন্দা করেছে আমেরিকা। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব দপ্তরের নেড প্রাইস সাফ বলেন, ‘এভাবে জিমি লাইকে দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে আমেরিকা। যেভাবে হংকংয়ের স্বশাসন শেষ করা হচ্ছে এবং যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে তা খুবই উদ্বেগের বিষয়।’ সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন