তিন হাজার ৭শ’ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পাঁচ ডেপুটি গভর্নর দায়ী কি-না -এই অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)র কাছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৭শ’ কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ ডেপুটি গভর্নরসহ ২৪৯ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট দায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ প্রেক্ষিতে সংস্থাটির আইনজীবী উপরোক্ত তথ্য জানান আদালতকে।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ৩৭০০ কোটি টাকা লোপাটে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ গভর্ণরসহ কর্মকর্তারা জড়িত ইস্যুতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের পিকে হালদারসহ অর্থপাচারের ৩৪টি মামলার তদন্ত কাজ চলছে। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টের দেয়া আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে গতকাল দুদকের আইনজীবী এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি চলছে।
গতকাল সরকারপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন