জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, দেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। লুটপাট আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে হাহাকার চলছে। জনগণ আর এই অপশাসনের ভার বইতে পারছে না। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে সেই সমাবেশ জনগণের মহাসমুদ্রের সম্মিলন ঘটবে। সেখান থেকেই দেশের ভাগ্য নির্ধারণের বার্তা দেওয়া হবে।
শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সবুজবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমুহের যৌথ কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন সমুহকে নিয়ে এই যৌথ কর্মীসভা করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে সবুজবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য থানা শাখাতেও কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হবে।
টুকু বলেন, এই সরকার দেশের সকল অর্জন খেয়ে ফেলেছে। এখন রিজার্ভ গিলে ফেলেছে। আর কয়েকদিন ক্ষমতায় থাকলে পুরো দেশটাকে খেয়ে ফেলবে। দেশের অস্তিত্ব আর রাখবে না এই সরকার। তাই এখনই সময়-তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। এই সবখেকো সরকারকে সরাতে হবে। এজন্য সবাইকে কাধে কাধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আসতে হবে। যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জেষ্ঠ্য সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, মোশারফ হোসেন খোকন, হারুনুর রশীদ হারুন, এস কে সিকান্দার কাদির, যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, সদস্য সচিব খন্দকার এনামুল হক, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পহৃর্বের আহবায়ক খালিদ হাসান জ্যাকি, সদস্য সচিব আল আমিন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা গোলাম হোসেন, জামিলুর রহমান নয়ন, ফজলে রুবাইয়াত পাপ্পু, খালিদ সাইফুল্লাহ রাজন সহ থানা এবং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন