সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিনিয়োগ-ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়বে

পর্দা নামলো ইউএস ট্রেড শো’র খাদ্য ও প্রসাধনী পণ্যে বেশি আগ্রহী দর্শনার্থীরা ইউএসএআইডি’র ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সুর সত্ত্বেও দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক এখন নতুন এক উচ্চতায়। দুই দেশের প্রত্যক্ষ অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সংযোগ এখন ১২ বিলিয়ন (১ হাজার ২০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়েছে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি। এ মুহূর্তে একক গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের শীর্ষ রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) উৎস হিসেবেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। এমনকি রেমিট্যান্সের উৎস হিসেবেও দেশটির অবস্থান শীর্ষে। গত পাঁচ বছরে দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণে। আর তাই রফতানি, এফডিআই ও রেমিট্যান্স বিবেচনায় দেশের অর্থনীতিতে সফটপাওয়ার (বাণিজ্যিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বা সাংস্কৃতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা) সবচেয়ে বেশি এখন যুক্তরাষ্ট্রেরই। এই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোৎকৃষ্ট পণ্যগুলোকে বাংলাদেশের বাজারে উন্মুক্ত করতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সঙ্গে কো-স্পন্সর হিসেবে ইউএস এ্যাম্বাসি ইন বাংলাদেশ তিন দিনব্যাপী ‘ইউএস ট্রেড শো’ আয়োজন করেছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই ট্রেড শো যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের ধারণা দিবে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এই ট্রেড শো’র গতকাল ছিল শেষ দিন। ২৮তম ইউএস ট্রেড শো’র শেষ দিনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকারক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করেছেন। সকাল থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যনীয়। তবে অধিকাংশ দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায় প্রসাধনী ও খাবারের স্টলগুলোতে। যদিও বাচ্চাদের ভিড় ছিল জনপ্রিয় সিসিমপুর স্টলে। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের স্টলে শিক্ষার্থীদের ভিড় দেখা যায় ইউএসএ ভিসা প্রসেসের বিষয়গুলো জানতে।

প্রসাধনী, জ্বালানি, ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা, খাদ্য ও পানীয়সহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫০টি ব্রান্ডের পণ্য ও সেবা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় তিন দিনব্যাপী এই ট্রেড শো। মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য এবং সেবা প্রদর্শনের জন্য মেলার আয়োজন করা হলেও বেশ কয়েকটি প্রসাধনী, খাদ্য ও পানীয় স্টল নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি বিক্রিও করে মেলায়। বিভিন্ন প্রসাধনীর স্টলে একটি পণ্যের সঙ্গে আর একটি পণ্য ফ্রি দেওয়াসহ ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় ছিল বিভিন্ন প্রসাধনীতে। এছাড়া, বিনামূল্যে ত্বক পরীক্ষা করারও সুযোগ রয়েছে শো’তে। ইউএস কোম্পানি রিমার্ক-এর স্টলে চারটি ব্র্যান্ড সিওডিল, নিওর, ব্লেজ ও স্কিন অ্যান্ড হারলান-এর পণ্য মেলাতে প্রদর্শন ও বিক্রি হয়। তারা মেলা উপলক্ষে ২০ শতাংশ ছাড়সহ স্ক্রিন অ্যানালাইজার দিয়ে বিনামূল্যে ত্বক পরীক্ষা করে।

রিমার্ক এইচবি লিমিটেডের কসমেটিকস অ্যান্ড স্কিন কেয়ারের ডেপুটি ডিরেক্টর আসিফ ইমরান রুবেন বলেন, আমরা বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করি প্রায় দুই বছর আগে, কিন্তু ৬ মাস হলো অফিশিয়াল ব্র্যান্ড হিসেবে প্রোডাক্ট নিয়ে আসছি। নতুন হিসেবে মেলাতে ভালো সাড়া পাচ্ছি। সারাক্ষণই স্টলে ভিড় আছে। আমরা আমাদের পণ্যে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়াসহ একদম ফ্রিতে স্ক্রিন অ্যানালাইজ করে দিচ্ছি। সেই অনুযায়ী গ্রাহক প্রসাধনী ব্যবহার করবেন। তিনি বলেন, আমরা সেলসে নজর দিচ্ছি না, প্রচারণার জন্য মেলাতে অংশ নিয়েছি। প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

কালারম্যাক্স ইউএসএ মেলা উপলক্ষে তাদের যেকোনো প্রসাধনী পণ্য কিনলে একটির সঙ্গে আরেকটি ফ্রি দিচ্ছে। স্টলের ভলান্টিয়ার সাদিয়া ইসলাম বলেন, মেলাতে প্রদর্শনীর উদ্যেশ্যে আসলেও প্রত্যাশার থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন আইটেমের মধ্যে আমাদের লিপস্টিক বিক্রি হচ্ছে বেশি।
হিডবিউটি ব্র্যান্ডের অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার আশরাফ আলী বলেন, আমরা সব প্রডাক্টের ওপর ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ জেল, লোশনের প্রতি। বাংলাদেশে আমাদের কোম্পানি গত বৃহস্পতিবারই যাত্রা শুরু করেছে।

দর্শনার্থীরাও জানিয়েছেন, একই ছাদের নিচে যুক্তরাষ্ট্রের এতোগুলো ব্র্যান্ড একসঙ্গে পেয়ে তারাও পণ্য ও সেবা যাচাই করে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। অনেকেই নিজেদের পছেন্দের পণ্য কিনছেন এবং মেলাতে দেওয়া ছাড় লুফে নিচ্ছেন।

মেলায় এসে ঘুরে ঘুরে কসমেটিকস দেখছিলেন তানিয়া বেগম। তিনি বলেন, বহুদিন ধরেই আমেরিকার প্রসাধনী ব্যবহার করছি। প্রতি বছরের মেলাতেই আমি আসার চেষ্টা করি। এসে একটা বিষয়ই ভালো লাগে, বিভিন্ন ব্র্যান্ড একসঙ্গে পাওয়া যায়। এছাড়া নতুন নতুন ব্র্যান্ড ও পণ্য সম্পর্কেও জানতে পারি।

ইউএস ফুড মার্ট-এর স্বত্বাধিকারী মো. আক্তারুজ্জামান খান বলেন, মেলাতে আমরা আমাদের চকলেট, পিনাট, বিভিন্ন প্রসাধনীসহ সকল পণ্যে ১০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। সারাদিনই স্টলে ক্রেতাদের ভিড় লেগে আছে। প্রসাধনীর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে লোশন ও শ্যাম্পু এবং খাবারের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে চকলেট। বার্গার কিং-এর স্টলের টিম মেম্বার রাসেল হাওলাদার বলেন, মেলাতে বিক্রি করছি না। মেলায় এসে রেজিস্ট্রেশন করলে আমরা তার একবারের অর্ডারে ১০ শতাংশ ডিসকাউন্টের অফার দিচ্ছি। ঢাকাতে আমাদের ৮টি আউটলেট রয়েছে। এছাড়াও মেলায় কোকাকোলা, মোবিল, ফরচুনা গ্রিন সিটি, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের বিভিন্ন সেবা ও পণ্যের প্রদর্শন করে।

শেভরন বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের কমিউনিকেশন ম্যানেজার শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশে ২০০৫ সাল থেকে কাজ করে আসছি। দেশের তিনটি গ্যাস ফিল্ড-এ বর্তমানে আমাদের কার্যক্রম চলছে। মেলাতে আমরা গ্যাস উত্তোলনের বিভিন্ন ধাপ এবং পুরো প্রক্রিয়া প্রদর্শন করছি। এ মেলায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলো জানিয়েছে, তাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি দর্শনার্থী মেলাতে এসেছেন।

দেশব্যাপী মানহীন ও নকল রি-এজেন্ট দিয়ে চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগ নির্ণয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে রোগ নির্ণয়ের জন্য নিম্নমানের এসব নকল রি-এজেন্ট সরবরাহ করছে। এসব মানহীন রি-এজেন্টে সঠিক রোগ নির্ণয় না হলেও প্রতিনিয়ত ঠকছেন অসহায় রোগীরা। আর এর সমাধানে আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনেস্ট্রেশন (এফডিএ) স্বীকৃত শতভাগ মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করছে আমেরিকার আলফা সায়েন্টিফিক ডিসাইনস। ‘ট্রেড শো’তে কথা হয় প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ ডিস্ট্রিবিউটর বায়োচেম ইন্টারন্যাশনালের ফাউন্ডার ইঞ্জিনিয়ার মো. নাজমুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ইনকিলাবকে জানান, তারা নানা ধরনের রি-এজেন্ট বিক্রি করছেন। এসব রি-এজেন্টের মাধ্যমে মানুষ বাসায় বসেই ২-১৫ মিনিটের মধ্যে নিজের পরীক্ষা নিজেই করতে পারছে। মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, বাজারে বিভিন্ন দেশের নিম্নমানের রি-এজেন্ট দিয়ে চলছে রোগ নির্ণয়। তাই বিভিন্ন সময়েই রোগ নির্ণয়ের সঠিক রেজাল্ট না পাওয়ার অভিযোগ আসে। এক্ষেত্রে শতভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের এই রি-এজেন্ট। এছাড়া তিনি দেশের বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে ‘সোলার আমেরিকা’ নামে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন মেলায়।

এদিকে গতকাল ‘ইউএসএআইডি সাপোর্ট ফর প্রাইভেট সেক্টর গ্রোথ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ইউএস বিজনেস ইন বাংলাদেশ সেøাগানকে সামনে রেখে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে জানানো হয়, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ইউএস এজেন্সী ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। আমেরিকান সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান হিসেবে এ অর্থ দেয়া হবে। দেশ স্বাধীনের পর এখন পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি। এদেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন, ক্যামিকেলমুক্ত সবজি উৎপাদন এবং রফতানি বাজার উন্নয়ন, রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সার্বিক রফতানি উন্নয়নে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ইউএসএআইডি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিচালক ড. মোহাম্মদ এন খান। এন খান বলেন, বাংলাদেশে বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ব্যবসা খরচ ও সময় কমাতে হবে। রফতানিতে নতুন নতুন খাতকে উৎসাহিত করতে হবে। ইউএসএআইডি দীর্ঘদিন ধরে এদেশে নারীর ক্ষমতায়ন কাজ করছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষক প্রশিক্ষণ এবং বাজার ব্যবস্থা উন্নত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফুল চাষ বৃদ্ধি, অ্যাকোয়া পদ্ধতির প্রসার, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে উৎসাহ প্রদান এবং দুধ প্রক্রিয়াকরণ শিল্প উন্নয়নে কাজ করছে। একই সঙ্গে ইকোট্যুরিজমের সম্ভাবনা কাজে লাগাতেও কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, এদেশে ব্যবসা উন্নয়নে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন দরকার। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি উত্তরণের পর অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। সেসব মোকাবিলা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগ কাজে লাগাতে বিশ^মানের বাণিজ্য সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও জয়েন্ট স্টক রেজিস্ট্রার কোম্পানি অফিসের সঙ্গে আমরা কাজ করছি। রফতানি বহুমুখীকরণ করতে হবে। ড. মোহাম্মদ এন খান জানান, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে ইউএসএআইডির অবদান রয়েছে। ধানসহ বিভিন্ন ফসলের নতুন নতুন জাত উন্নয়ন এবং ‘বারি’ এর সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি। তবে কৃষি উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তরে বিশেষ নজর দিতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটা জরুরি। এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা, উচ্চশিক্ষার সুযোগ, বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে ইউএসএইডের কর্মকাণ্ড ও মেধাস্বত্ব বিষয়েও একটি সেমিনারের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

ট্রেড শোতে গতকাল যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অর্থনৈতিক শাখা প্রধান জোসেফ গিবলিন ইনকিলাবকে বলেন, প্রায় দুই দশক ধরে অ্যামচেমের সঙ্গে কো-স্পন্সর হিসেবে কাজ করছি আমরা। এই শো’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোৎকৃষ্ট পণ্যগুলো বাংলাদেশের বাজারে পরিচিত করার সুযোগ হয়। তিনি বলেন, দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে এই ট্রেড শো।

ট্রেড শো’র আয়োজক অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন পণ্য ও সেবা দেশের উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতে এই ‘ট্রেড শো’। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেও বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ ও সুযোগ তুলে ধরা হয়। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাধা দূর করার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। যার মাধ্যমে কমবে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি। একই সঙ্গে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণে এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে প্রতিবছরই এই আয়োজন করা হয় বলে উল্লেখ করেন সৈয়দ এরশাদ আহমেদ। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে, একক দেশের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। তাই এখন থেকে আমাদের রফতানির বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ পাশে আছে বলেই আমরা টেকনোলজিতে এগিয়ে যাচ্ছি। ট্রেড শোতে অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন নতুন টেকনোলজি ও আইডিয়া শেয়ার করেছে।
উল্লেখ্য, অ্যামচেমের সঙ্গে কো-স্পন্সর হিসেবে ইউএস এ্যাম্বাসি প্রথম এই ট্রেড শো আয়োজন করে ১৯৯২ সালে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন