শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দেশে এডিস মশা ছিল না, ফ্লাইটে আসতে পারে

সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে এডিস মশা ছিল না। ফ্লাইটে হয়তো এই মশা আমাদের দেশে আসতে পারে। প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম হলেও অস্বস্তিতে রয়েছেন। গতকাল রোববার সচিবালয়ে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর এবং সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানেতো এডিশ মশা ছিল না, ডেঙ্গু রোগ ছিল না। এটাতো বাইরে থেকে আসছে। ফ্লাইটে করে প্যাসেঞ্জার আসছিল অথবা দুটি মশা আসছে। দুটি মশা এখানে এসে কোনো না কোনো বাহিত ডেঙ্গু ছিল, সে আরও মশা প্রজনন করেছে।

তিনি বলেন, এটা আমি বলছি যে হয়তো কোনো কারণে অর্থাৎ কোনো কোনো কারণে আসতে পারে। যেমন আমাদের হয়তো কোনো প্যাসেঞ্জার আসছে হয়তো কোভিডযুক্ত তাকে আইডেন্টিফাই করা যায়নি অথবা কেউ জানে না সে এসে নিজে সুস্থ ছিল কিন্তু রোগী সৃষ্টি করেছে, তেমনিভাবে ফ্লাইটে করে একটি মশা আসতে পারে। মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের আগে আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা পরিলক্ষিত হয়নি। যে কারণে এ বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা খুব বেশি ছিল না। সে অভিজ্ঞতা আমরা সংগ্রহ করেছি এবং কি কি খাতে আমাদের কি কি ইন্টারভেনশন দরকার বা কি কি আউটপুট দরকার সে বিষয়ে কাজ করতে গিয়ে ২০২০ সালে আমরা মোটামুটি সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিলাম।

তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২০ হাজারের মতো আক্রান্ত হয়। কিছু মৃত্যু হয়। সেটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। এখন ২০২২ সাল। এই ২০২২ সালে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের তীব্রতা আমাদের সমসাময়িক দেশগুলোতে মারাত্মকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশও তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত সেপ্টেম্বরের পর থেকে এর নিম্নগামী আমরা লক্ষ্য করেছি। প্রতিটি দেশে ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে এই রোগের একটা সম্পৃক্ততা আমরা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এ বছর অক্টোবর মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এখনো এটা নিম্নগামী অবস্থা না আমাদের কাছে। বাংলাদেশের অবস্থার থেকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো অনেকের অবস্থা এর থেকে অনেক ভয়াবহ। ভারতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় দুই লাখের মতো আক্রান্ত। বিশেষ করে কলকাতায় অসংখ্য এবং মৃত্যুহার সেখানে বেশি।

তিনি বলেন, ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ২৮ হাজার ১৯৬ জন আক্রান্ত। আমার মনে হয় এই সংখ্যাটা এখন অনেক বেড়েছে। মালয়েশিয়ায় ৩৭ হাজার ৯৫০ জন। ইন্দোনেশিয়ায় ৯৪ হাজার ৩৫৫ জন। ফিলিপাইনে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৫০ জন। বাংলাদেশে গতকাল পর্যন্ত (২৬ অক্টোবর) ৩৩ হাজার ৯২৩ জন। এটা আমাদের কাছে স্বস্তিদায়ক না। মশা নিধনের জন্য যেসব উপকরণ লাগবে, মশা মারার জন্য যে ওষুধ লাগবে তা বছরের শুরুতে সংগ্রহ করা হয়। তারপর যে মেশিন লাগবে ওনারা (মেয়ররা) সংগ্রহ করেন। তারপর লোকবল লাগবে ৩ হাজার করে, ওনাদের লোকবল দেওয়া হয়েছে এবং এজন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুই কোটি, পাঁচ কোটি করে আমি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। মশার ওষুধ আমদানির ক্ষেত্রে এক ধরনের মনোপলি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা মনোপলি ভেঙেছি। আমাদের যে সমস্ত প্রক্রিয়া হাতে আছে, সেগুলো আমরা করেছি।
মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটি এবিস মশার ওপর একটা স্টাডি করি আবিষ্কার করেছে এক জাতীয় মশা যখন এডিস মশার সঙ্গে ক্রস হবে, তখন এডিস মশার জীবাণু বহন করতে পারবে না। আমরা তাদের ওয়েবক্যাম করেছি। এখন যে ডেঙ্গু হচ্ছে এটা নির্মূল করার পথ কী আপনাদের কাছে নেই Ñএ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে বলেইতো অবস্থাটা অন্য দেশের তুলনায় এ রকম ভালো। তাদের দেশেওতো ছিল না। এটা ইউরোপে ছিল। ফ্রান্সে দেখা গেছে যে একদিনে ৭-৮ হাজার লোক মারা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন