শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

অবশেষে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে মার্কিন সেনারা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১:১৬ এএম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই কিয়েভে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। মার্কিন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী- অল্পসংখ্যক মার্কিন সেনাদের একটি দল ইউক্রেনে অস্ত্র পরিদর্শনের কাজে রয়েছে, তারা কোনো সম্মুখসমরে অংশ নিচ্ছে না। খবর দ্য হিল, ওয়ার্ল্ড সোশ্যালিস্ট ওয়েবসাইট।

মার্কিন বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রেইডার গত মঙ্গলবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে মার্কিন সেনার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগের দিন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষাবিষয়ক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইউক্রেনে মার্কিন সেনারা অস্ত্র মজুদ পরিদর্শন শুরু করেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে এ ধরনের ঘোষণা এটিই প্রথম।

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি ডটকমের প্রতিনিধি ট্র্যাভিস ট্রিটেন প্রশ্ন রাখেন, ইউক্রেনের অভ্যন্তরে যে মার্কিন সেনারা অস্ত্র পরিদর্শন করছেন, তাদের জড়িত থাকার নিয়মগুলো কেমন হবে? তারা যদি রুশ বাহিনীর লক্ষ্যে পরিণত হয় বা তারা যদি চলমান যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন? এর জবাবে জেনারেল রেইডার বলেন- আমাদের দূতাবাস কর্মীদের নিয়ে গঠিত ছোট্ট একটি দল বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানে দেখভাল করছেন। তিনি আরও বলেন, আমার বোঝাপড়া হলো- তারা যে কোনো ধরনের সম্মুখসমর থেকে বহু দূরে থাকবে। আর আমরা এটি করছি ইউক্রেনীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে। আমরা তাদের ওপর নির্ভর করছি... তারা (মার্কিন সেনা) সামনের সারিতে কাজ করবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা অত্যন্ত পরিষ্কার যে, ইউক্রেনে আমাদের কোনো যুদ্ধবাহিনী নেই, ইউক্রেনে কোনো মার্কিন সেনা যুদ্ধ পরিচালনা করছেন না। তারা এমন কর্মী, যারা শুধু প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় নিযুক্ত করা হয়েছে।

এর প্রত্যুত্তরে ট্রিটেন আবারও প্রশ্ন রাখেন- তারা কিন্তু দূতাবাসের বাইরে কাজ করছেন। আমি শুধু এইটুকু জিজ্ঞাসা করব- এই সেনা উপস্থিতি চলমান উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে কিনা? এর জবাবে রেইডার বলেন, মার্কিন পদক্ষেপটি উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য নয়। কিন্তু ইউক্রেনে মার্কিন সেনা দায়িত্ব পালন অবস্থায় নিহত হলে কী হবে- ট্রিটেনের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান রেইডার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Nurul Alam ৪ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৭ পিএম says : 0
we don't want see inocent peoples killing by arms America and israili goverment killing every day pelestinian inocant inocent peoples since 1948 still now and others Muslims countrys inocent peoples are killing by non Muslims countrys governments but we want peaceful world don't want see killing inocent people by others countrys people's
Total Reply(0)
হারাধন বিশ্বাস ৪ নভেম্বর, ২০২২, ৮:১৭ এএম says : 0
আমেরিকার কাজ হচ্ছে যুদ্ধ বন্ধ করার বদলে যুদ্ধকে আরো বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন