মন্দার আশঙ্কা ও চীনে নতুন করে করোনা ছড়ানোর সংশয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম গতকাল শুক্রবার আবারও বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৬ দশমিক ৫১ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহজুড়ে দামের তুলনায় তা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআিই) দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ দশমিক ১১ ডলারে। সপ্তাহের ব্যবধানে সেখানে ২ শতাংশ বেশি। ডলারের দাম কমে যাওয়ায় উভয়ের ক্ষেত্রে তেলের দাম বেড়েছে। দুর্বল ডলার তেলের চাহিদা বাড়ায় কারণ এটি অন্যান্য মুদ্রায় গ্রহীতাদের জন্য পণ্য সস্তা করে তোলে। যদিও বাজারে তেলে চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে সরবরাহ এখনও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কেননা রাশিয়ার তেলের উপর ইউরোপের আসন্ন নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং মার্কিন অশোধিত মজুদ হ্রাস পেয়েছে। আইএনজির কমোডিটি স্ট্র্যাটেজির প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন বলেছেন, গত অক্টোবরে ওপেক প্লাস দ্বারা ঘোষিত সরবরাহ কম না হলে, আমরা সম্ভবত অনেক নিম্নস্তরে লেনদেন করতাম। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদের হার বৃদ্ধি কমানোর বিষয়ে চিন্তা করা ‘খুব কঠিন’ বলার পরে বৃহস্পতিবার বিশ্বের বৃহত্তম তেল গ্রাহক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা আরও বেড়েছে। এছাড়া ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছে যে তারা মনে করে ব্রিটেন মন্দায় প্রবেশ করছে এবং অর্থনীতিতে আরও দুই বছর প্রবৃদ্ধি বাড়বে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত মার্চ মাস থেকে তেলের দাম বেড়েছে এবং সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখনো ডলারের ওপর নির্ভর। যদিও রাশিয়া ইউক্রেন আগ্রাসনের পর রুবলে তেল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা চলছে টানা কয়েক মাস ধরে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন