আবহাওয়া অনুকূলে হলেও উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সব উপকরণের দাম প্রতিকূল অবস্থায়। সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ সঙ্কটসহ কৃষি উপকরণের ক্রমাগত দাম বাড়ছে। সবজি চাষাবাদের মৌসুম শুরু আগেই দেশের উত্তরাঞ্চলের চাষিরা ক্ষেতে চাষাবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়ার কারণেই শীতকালে সবজির চাষাবাদি বেশি হয়ে থাকে। ঐতিহ্যগতভাবে ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ের চাষাবাদকে রবি মৌসুম ধরা হয়। সেই অর্থে এখন ভরা রবি মৌসুম চলছে। দেশের সর্বোত্তরের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া। নাটোর থেকে কিছুটা পশ্চিমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, একটু দক্ষিণে পাবনা, ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া এলাকার মাঠে মাঠে এখন হেমন্তের কাঁচাপাকা ধান, শাকসবজির ক্ষেত যেন কবি জীবনানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা’ কবিতার মতো চিরায়তরূপকে আরো মনোরম করে তুলেছে। অথচ কৃষিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। কৃষকরা শাকসবজি ফলিয়ে দেশের চাহিদা মেটাচ্ছেন কৃষকের দিকে তাকানোর যেন কেউ নেই।
কৃষি বিভাগের প্যাকেজ হিসেবে গত ৩ বছরে উত্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে গড়ে দেড় লাখ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হচ্ছে। উৎপাদন হচ্ছে গড়ে ৩০ লাখ মেট্রিক টন সবজি। যার বাজার মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকার কম নয়। কৃষকরা বলছেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর কারণে উৎপাদিক সবজি প্রতিদিন ঢাকায় চলে যাচ্ছে। তবে পথে পথে চাঁদাবাজির কারণে রাজধানী ঢাকায় সবজির দাম অনেক বেশি হলেও কৃষকরা প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। মধ্যস্বত্বভোগীরাই সবজির দামের বড় অংশ পকেটে ভরছেন।
উত্তরাঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন কাঁচাপাকা আমন ধান, ধান ক্ষেতের পাশেই দিগন্ত বিস্তৃত সবজির ক্ষেত। মৌসুমি ফসল ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বরবটি, সিম, বেগুন, লাউ, কুমড়ো, করলা, পটল, কাঁকরোলসহ লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, বিভিন্ন প্রজাতির ডাটা শাকের পাশাপাশি ধনেপাতা, পুদিনা পাতার লাল সবুজ রং বাংলার মোহনীয় রূপকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী কৃষি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ বলেছেন, গত এক যুগে কৃষি ব্যবস্থাপনায় যে পরিবর্তন হয়েছে তাতে সবজি চাষে উত্তরাঞ্চলের চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। রাজশাহী কৃষি অঞ্চল এক বিভিন্ন রকম ডাল জাতীয় ফসল, পেঁয়াজ, রশুনের পাশাপাশি কাটোয়ার ডাঁটার চাষ হতো ঐতিহ্যগতভাবে। এখন আলু, বেগুনসহ সব রকমের সবজিরই চাষ হচ্ছে। সবজি এখন মৌসুমি ফসল নয় আলু ছাড়া সব ধরনের সবজিই ১২ মাসই চাষ হচ্ছে। রাজশাহী ক্রমশ সবজি নগরী নামেই পরিচিত হয়ে উঠছে। রাজশাহী অঞ্চলের ৭ লক্ষ হেক্টর জমির মধ্যে বর্তমানে ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হচ্ছে। প্রতিবছরই বাড়ছে সবজি চাষের আওতা। এসব জেলা ছাড়াও লালমনির হাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জে হাজার হাজার একর জমিতে সবজির চাষাবাদের প্রক্রিয়া চলছে। রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম বিএসসি জানান, আগাম ধান কাটার পর জমিতে কফি, বেগুন ও আলু বপণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে কয়েকদিন পর ব্যাপকভাবে সবজি চাষাবাদ শুরু হবে।
রংপুর কৃষিবিভাগের হিসেবে দেখা যায় এখন (বৃহত্তর রংপুর) ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির চাষাবাদ হয়। এক সময় রংপুরে নাপা শাকপাতা নামের এক প্রকার চাষাবাদ হতো। লালমনিরহাটের কৃষকরা এই শাক ব্যাপকভাবে ফলাচ্ছেন।
কৃষকরা জানান, এক সময় কার্তিক মাসের পুরোটাই মানুষকে বসে থাকতে হতো। কোথাও কোনো কাজ ছিল না। খাদ্যাভাব হতো, যা ‘কার্তি মাসি মঙ্গা’ হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু সবজি চাষের প্রচলনের পর সেই পরিস্থিতির চিত্র পুরোটাই পাল্টে গেছে। দূর হয়েছে কার্তিক মাসের মঙ্গা। রংপুরের বিখ্যাত তামাক চাষ আর আগের মত নেই। প্রতিবছর একটু একটু করে কমছে তামাকের আবাদ আর বাড়ছে সবজির চাষ। এখন লালমনিরহাট, নিলফামারি ও রংপুরের হারাগাছ এলাকায় কিছু তামাক চাষ দেখা গেলেও অন্যান্য উপজেলায় এ চাষাবাদ নেই বললেই চলে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঠাকুরগাঁওজুড়েই এখন নানান জাতের গোল আলুর পাশাপাশি সব ধরনের সবজিই চাষ হচ্ছে ব্যাপকভাবে। ফলে ঠাকুরগাঁও-এর কৃষি অর্থনীতির ভিত্তি হচ্ছে শক্তিশালী। পরিবেশ ও পানি গবেষক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার সাবেক ডিজি আব্দুল মতিনের মতে, রবি মৌসুমে ধানের আবাদের পরিবর্তে সবজি চাষের আওতা বৃদ্ধিতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারের চাপ কমবে অনেক। সার, বীজ, কীটনাশক সহজলভ্য ও সুলভ করার দিকে বিশেষ নজর দেয়ার জন্য তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার মতে, এই সময়ে দেশে সবজির ফলনের প্রাচুর্যের কারণে সাধারণ মানুষের আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভালো আছে। চালের উচ্চ মূল্যের কারণে মানুষ ভাত কম পরিমাণে এবং সবজি বেশি পরিমাণে খেতে অভ্যস্ত হচ্ছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দুলাল হোসেন জানান, বগুড়া এক সময় বিখ্যাত, পাকড়ি ও হাগড়াই আলু, ঝাল মরিচ ফসলের জন্য সুপরিচিত ছিল। কিন্তু এক দশকজুড়ে বগুড়ায় সবধরনের সবজির চাষাবাদ বাড়ছে। বগুড়া উত্তরের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, দিনাজপুর, বৃহত্তর রংপুরের কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট, নিলফামারী, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট থেকে বগুড়ায় প্রবেশপথ মোকামতলা ও মহাস্থানহাটে এখন বৃহত্তম সবজির পাইকারিহাট বসে। এখান থেকেই রাজধানী ঢাকায় সবজির সবচেয়ে বড় চালান যায়। এই দুটি হাট থেকে মধ্যপ্রাচ্যসহ ৮টি দেশে নিয়মিত সবজি রফতানি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সবজির পাশাপাশি কলা চাষও হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। উত্তরের জেলাগুলোতে একরের পর একর জমিতে কলা চাষ হচ্ছে। যা উত্তরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
কৃষকরা জানান, কলা, আলু, বেগুন, টমেটো, মরিচ, কফি, মুলাসহ সব ধরনের সবজি এখন কিছু কিছু বিদেশে রফতানি হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের সবজির পাইকারি বাজারের বড় আড়ত মহাস্থানের মুক্তি ফল ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী রহেদুল ইসলাম বলেন, বিদেশে আরও সবজি রফতানি হলে সবজি খাতই হতে পারবে রেমিট্যান্স আর্নিং সোর্স। এছাড়া এখন ১২ মাসই সবধরনের সবজির আবাদ হওয়ায় কৃষি খাতে বহু বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে। তবে তিনি সবজি পরিবহনে দেশের রেল বিভাগকে বিশেষ তৎপর হতে পরামর্শ দেন। তারমতে রংপুর, দিনাজপুর ও রাজশাহী থেকে ট্রেনে করে সবজি পরিবহনের ব্যবস্থা করতে রেল মন্ত্রণালয় কর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিশিষ্ট সমাজকর্মী কেজি ফারুক ইনকিলাবকে বলেন, কৃষিনির্ভর উত্তরাঞ্চলে ইদানীং সবজি চাষে বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষ্যনীয় হয়ে উঠেছে তা’ উৎসাহ ব্যাঞ্জক বৈকি। তবে দেখতে হবে উৎপাদক চাষি ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে কি না? তাদের কাছে কৃষি উপকরণ সহজলভ্যতার সাথে পৌঁছে কি-না? পরিবহন খাতে অর্থাৎ উত্তরাঞ্চলের পাইকারি আড়তের সবজি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট খুলনায় পাঠাতে পথেপথে পরিবহনে চাঁদাবাজি হচ্ছে কি-না? তিনি ব্যাপক সবজি উৎপাদনের কারণে রিজার্ভ এর ডলার শূন্যতা, মুদ্রাস্ফীতির চাপ সরাসরি সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও সেভাবে প্রভাব ফেলেনি।
রংপুরের পীরগাছা মহিলা কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক আমিন উল্লাহ (গ্রামের বড় গেরস্থ) বলেন, এক সময় মুন্সিগঞ্জকে আলুর জন্য বিখ্যাত বলা হত। এখন রংপুরের কৃষকরা যে পরিমাণ আলু উৎপাদন করছেন, তার অর্ধেক আলু মুন্সীগঞ্জে উৎপাদন হয় না। অন্যান্য সবজি ছাড়া শুধু রংপুরে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয় তা যদি ট্রেনে করে ঢাকায় নেয়া যেত এবং সংরক্ষণ করা হতো তাহলে কৃষকরা উপকৃত হত। এ ছাড়া সরকারি চ্যনেলে বিদেশে আলু বিক্রির ব্যবস্থা করা গেলে রংপুরের আলু রফতানি করে শত কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। কিন্তু উত্তরাঞ্চলকে এখনো বঞ্চিত করা হচ্ছে।
নওগাঁ থেকে এমদাদুল হক সুমন জানান, উত্তর জনপদ শষ্য ভান্ডার খ্যাত রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে এখন সবুজের হাতছানি। যেদিকে চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা। এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় উঁচু জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষক পরিবারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। ক্ষেতগুলোতে এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
পূবালি বাতাস, শিশির ভেজা কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে কৃষকেরা জমিতে হাল চাষ, চারা রোপণ, ক্ষেতে পানি ও ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করাসহ নানা কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু নিজেদের চাহিদাই নয়, বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। শীতের শুরুতে পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে বিভিন্ন জাতের সবজি পাঠাবে এ এলাকার কৃষকরা।
সবুজে সবুজে ভরে উঠছে ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি সীম গাছের ডগা, শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, করলা, পটোল, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতকালীন সবজির চারা। তাই মাঠে মাঠে এসব ফসল পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত কৃষকরা। কাক ডাকা ভোরে কোদাল, নিড়ানী, বালতি, স্প্রে মেশিন ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছে এখন কৃষকরা ।
ভবানীপুর গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী লিটন ও মাগুড়াপাড়া গ্রামের কৃষক জালাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলক ভাবে মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও তুলনামূলক কম। প্রায় প্রতিদিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। পরিবারের চাহিদাও মেটানো সম্ভব হয়। ক্ষেতে সবজি থাকা পর্যন্ত প্রত্যেক কৃষকের হাতে কমবেশি টাকা থাকে।
সবজির কদর সারাদেশেই রয়েছে। তবে তা আগাম চাষ করতে পারলে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষ করা সম্ভব।
আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ কে এম কাউছার হোসেন জানান, কৃষকদের সবজি চাষে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বর্তমানে সীম, বেগুন, লালশাক, মুলা শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো এর আবাদ চলছে বলে তিনি জানান। সবজি চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল। কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকুল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন। কৃষি বিভাগের লোকজনের নিয়মিত মনিটরিংয়ে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার বেড়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে উৎপাদন বাড়ায় কৃষকদের মুনাফাও বেড়েছে কয়েকগুণ। চাষিরা এখন বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষাবাদ করে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে বলেও জানান।
গোদাগাড়ী (রাজশাহী থেকে) মো. হায়দার আলী জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন পাকা সোনালী আমনের নজরকাড়া দুলনী। সে সাথে দুলছে কৃষকের মন। মাঠের পর মাঠজুড়ে সোনালী শিষে ভরা আমনের ক্ষেত। সোনালী ধানের শীষের সাথে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। করোনা বিপর্যয়, বন্যা, অতিবর্ষণের ধকল কাটিয়ে ঘাম ঝরা ফসল ঘরে তোলার সোনালী স্বপ্ন কৃষকের চোখে মুখে। কোথাও কোথাও দেখা যায় শীতের সোনামাখা রোদ গায়ে মেখে আমন কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের ব্যস্ততা।
তরে কৃষকরা বলছেন, এবার আলুর দাম ভালো পাওয়ায় ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে চাষীরা আলু চাষের জন্য আগাম ধান কেটে আলু লাগানো শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে দেখা দিয়েছে ধান কাটা শ্রমিকের সঙ্কট। ধান কাটা শেষ হলেই আলুর জন্য জমি প্রস্তুত করা হবে। তাই দ্রুত ধান কাটার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় শ্রমিকদের মজুুরি বেশি হওয়ায় অনেক কৃষক ধান কাটার পর আলু রোপনের জন্য জমি তৈরি শুরু করতে পারেন নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন