পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে লংমার্চে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনের নাম জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ও সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ইমরান খানের এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, সেনাবাহিনী এবং এর একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে পাকিস্তান আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। কাউকে সেনাবাহিনী এবং এর সৈন্যদের সম্মানহানি করতে দেওয়া হবে না।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক ভিডিওবার্তায় সন্দেহভাজন তিনজনের নাম জানান ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের মহাসচিব আসাদ ওমর।
ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, ‘এ মুহূর্তে ইমরান খান কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন- জাতির উদ্দেশে তিনি যে বার্তা দিতে চান, আমরা যেন তা আপনাদের কাছে পৌঁছে দিই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, হামলা যে হতে পারে এমন তথ্য তিনি আগেই পেয়েছিলেন। তার বিশ্বাস তিন ব্যক্তি এ হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এই তিন ব্যক্তি হলেন শাহবাজ শরিফ, রানা সানাউল্লাহ ও মেজর জেনারেল ফয়সাল।’
ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পদত্যাগ ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরের লিবার্টি চক থেকে লংমার্চ শুরু করে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পিটিআই। শুক্রবার ইসলামাবাদের রাওয়াত এলাকায় শেষ হওয়ার কথা ছিল এ কর্মসূচির। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে লংমার্চের শুরু থেকেই গাড়িবহরের সামনে ছিলেন ইমরান।
লংমার্চের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদ শহরে সমাবেশ করছিলেন ইমরান খান। সে সময়েই তাকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি করা হয়। হামলার পরই তাকে চিকিৎসার জন্য লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন