জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ বলেছেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের এখন আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নন। সারাদেশে পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীদের করা প্রায় ৫/৬ টা মামলার আদেশ বা নির্দেশে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে তার (জিএম কাদের) রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুন আরও বলেন, বিশেষ করে, যে গুরুতর অপরাধে তিনি আর জাপার চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারেন না, তাহলো পল্লীবন্ধু এরশাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিজেকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যা পিবিআইয়ে তদন্তাধীন রয়েছে। ৫ অক্টোবর শনিবার ১০ম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়কদের জরুরি সভা শেষে ইনকিলাবসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন কাজী মামুন।
এসময় তিনি আরো বলেন, একটি অভিযোগ বা মামলা যেহেতু তদন্তাধীন, সেহেতু ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নবম কাউন্সিল বা সম্মেলন গ্রহণযোগ্য নয়। আর সে কারণেই এখন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তৎকালীন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ। এই প্রথম যুগ্ম আহবায়কদের সভায় অংশ নেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। পার্টির সাবেক সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভা সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব গোলাম মসীহ্।
আজকের সভার সিদ্ধান্তমতে, এখন থেকে জাতীয় পার্টি ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের মূখপাত্র হিসেবে কাজ করবেন কাজী মামুনুর রশীদ। এছাড়া জাপার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কার্যক্রম জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আরো গতিশীল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পার্টির অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভক্ত সব অংশকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য যোগাযোগ জোরদার করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। পাশাপাশি, অঙ্গ সংগঠনগুলোর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং জেলা ও উপজেলায় কেন্দ্রের সমন্বয়ে বর্ধিতসভা করার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করা হয়। এসময় বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়।
এতে আরো অংশ নেন পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম এসএমএম আলম, সাবেক এমপি অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা, সাবেক এমপি এমএ গোফরান, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বারি হাবিবুল্লাহ বেলালি, সাবেক এমপি ও সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, অধ্যপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক এমপি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ ও জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন