শীত শুরু হওয়ার আগেই কুয়েতে বাংলাদেশি সবজিতে সয়লাব। চাহিদা বাড়ায় স্থানীয়ভাবেও উৎপাদন শুরু করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সাফল্য পেয়ে এ খাতে বিনিয়োগ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে কর্মসংস্থানও।
গরমে ৫০ থেকে ৫৫ ডিগ্রি আর শীতে শূন্যের নিচে তাপমাত্রা। কখনো ঘনকুয়াশায় আচ্ছন্ন, আবার কখনো তুষারঝড়; এমন বৈরী আবহাওয়ায় বিস্তীর্ণ ধূসর মরুভূমিতে এখন সবুজের সমারোহ। কুয়েত সরকারের সহযোগিতায় দেশটিতে কৃষিবিপ্লব ঘটাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। মেধা আর শ্রম দিয়ে ফলাচ্ছেন নানা রকম শাকসবজি।
কুয়েতে কৃষি অঞ্চলখ্যাত ওয়াফরা ও আব্দালিতে স্থানীয় নাগরিকদের কাছ থেকে মরুভূমি বর্গা নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা গড়ে তুলেছেন অসংখ্য কৃষি খামার। মেধা আর কঠোর পরিশ্রমে পেয়েছেন সফল্যও। এখান থেকেই কুয়েতের সিংহভাগ সবজির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।
কুয়েতে আড়াই লাখের ওপর বাংলাদেশির বসবাস। অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি সবজির ভালো চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় দেশীয় সবজি উৎপাদনে ঝুঁকছেন অনেক প্রবাসী।
ছুটির দিনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি খামার থেকে টাটকা সবজি কেনেন অনেকেই। ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা- এমনটাই স্বপ্ন খামার মালিকদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন