শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গাজীপুরে পানির নীচে আন্দাজ নির্ভর জরিপ বন্ধ রাখার দাবি এলাকাবাসীর

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০২২, ৪:২২ পিএম

গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে বর্ষাকালে জলনিমগ্ন ভূমির জরিপ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পানির ওপর আন্দাজ নির্ভর জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করলে জমির সঠিক পরিমাপ ও সীমানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা স্থানীয় ভূমি মালিকদের। কিন্তু এলাকাবাসীর এ আপত্তিকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না স্থানীয় জরিপ কর্মকর্তারা।
স্থানীয় ভূমি মালিকরা জানান, গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার কাশিমপুর, লোহাকৈর, পশ্চিম পানিশাইল, বারেন্দা, মিরপুর, গোবিন্দবাড়ী মৌজার ভূমি জরিপ ও তসদিক কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে বর্ষার পানিতে নিমগ্ন সুরাবাড়ী মৌজায়ও জরিপ কাজ শুরু করতে যাচ্ছে জরিপ বিভাগ। সুরাবাড়ী মৌজার অধিকাংশ জমির ওপর দিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন নৌযান চলাচল করছে। স্থানীয় ভূমি মালিকদের অভিযোগ, ইতিমধ্যে যেসব মৌজায় জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে সেসব ভূমি মালিকদের ব্যাপক হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্য করছেন জরিপ সংশ্লিষ্টরা। দলিল ও রেকর্ড অনুযায়ী দখলস্বত্ব বা সরেজমিনে জমির পরিমান সঠিক থাকা সত্বেও জরিপ শেষে বলা হচ্ছে ‘আপনার জমি কম আছে’। পরে বিশেষ রফাদফায় জমির পরিমান ‘ঠিক’ করে দেয়া হয়। বর্তমানে সুরাবাড়ী মৌজায় পানির নিচে ভূমি জরিপ চালালে এধরণের উদ্দেশ্যমূলক হয়রানি আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয় ভূমি মালিকদের। এ অবস্থায় আগামী জানুয়ারি মাস থেকে শুকনো মৌসুমে সুরাবাড়ী মৌজায় ভূমি জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন সেখানকার ভূমি মালিকরা।
স্থানীয় ভূমি মালিক মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের এলাকায় অন্যান্য মৌজায় চলমান জরিপ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে প্রতিনিয়ত স্থানীয় জরিপ অফিসে যাতায়ত করতে হচ্ছে। আর এ সময়ে সুরাবাড়ী মৌজায় বেশিরভাগ জমিই পানির নীচে নিমজ্জিত থাকায় ওইসব জমিতে যাওয়া কোনমতেই সম্ভব নয়। তাই ওই মৌজার জরিপ কাজ জানুয়ারি মাসে শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর এ যৌক্তিক দাবিকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছেন না জরিপ কর্মকর্তারা। ফলে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ভূমি মালিকদের পক্ষে সুরাবাড়ী মৌজায় বর্ষা মৌসুমে জরিপ কাজ সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। যা শুনানীর জন্য কার্য তালিকায় রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, জরিপ অফিসে কেউ ডিসপোর্ট বা আপত্তি না দেওয়া সত্বেও নানা অজুহাত দাঁড় করিয়ে ভূমি মালিকদের হয়রানি ও নির্ভুল রেকর্ড হালনাগাদের নামে নির্বিঘেœ ঘুষ বাণিজ্য চলছে। একই অসৎ উদ্দেশ্যে এলাকার ভূমি মালিকদের সুবিধার কথা চিন্তা না করে জরিপ কাজে নিয়োজিত কিছু অসাধু কর্মচারি পানিতে নিমজ্জিত ভূমি জরিপ কাজ চালানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে স্থানীয়দের সঙ্গে জরিপকারীদের দূরত্ব তৈরি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জরিপকারী সার্ভেয়ার ইউসুফ হোসেন জানান, এলাকাবাসী একটি আবেদন করেছিল পরে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ওই মৌজার সে সকল জমি পানির উপরে আছে সে গুলোর জরিপ কাজ চলবে, আর পানির নীচে যে সব জমি রয়েছে পানি নেমে গেলে সেগুলোর জরিপ কাজ শুরু করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
hassan ৭ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৩৫ পিএম says : 0
গ্রামবাসীর উচিত জরিপ কর্মকর্তাদের হাত পা ভেঙে দেওয়া তারা আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পায় অতএব তারা আমাদের চাকর আমাদের কথা তাদেরকে শুনতে হবে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন