শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

জনশক্তি রফতানিতে বাড়েনি গতি

মালয়েশিয়া শ্রমবাজার হাইকমিশনে ২০ হাজার পাসপোর্ট আটকা ১ লাখ ৫ হাজার চাহিদাপত্র সত্যায়িত কর্মী গেছে মাত্র ৭ হাজার

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানিতে বাড়েনি গতি। দেশটিতে লাখ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৪ বছর পর গত আগস্ট মাস থেকে ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশটি কর্মী নিয়োগ শুরু হলেও এ যাবত মাত্র ৭ হাজার কর্মী গেছে। ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে প্রায় ২০ হাজার মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুকর্মীর পাসপোর্ট আটকা পড়েছে। নানা কারণে যথাসময়ে ভিসা ইস্যু না হওয়ায় এসব কর্মীরা দেশটিতে যেতে পারছে না। একাধিক রিক্রুটিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো এ যাবত ১ লাখ ৩০ হাজার কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র লাভ করেছে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা এবং পদে পদে হয়রানির কারণে জনশক্তি রফতানিতে বাড়ছে না গতি। মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা দ্রুত কর্মী না পাওয়ায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ। নেপাল-ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যেতে সময় লাগে মাত্র ১৫ দিন। আর বাংলাদেশ থেকে কর্মী যেতে সময় লাগে ২ মাস থেকে ৩ মাস। দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি কর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছে।
সরকার এবার দেশটিতে কর্মী প্রেরণের অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করেছে ৭৮ হাজার ৯০০ টাকা। মালয়েশিয়ার সাবেক মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান ঢাকায় ঘোষণা দিয়েছিলেন শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাবে। এখন অঘোষিতভাবে ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী যেতে জনপ্রতি সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী এ অভিমত ব্যক্ত করেছে। এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়া থেকে ৫ হাজার রিংগিত দিয়ে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র ক্রয় করছে বলেও জানা গেছে। চাহিদাপত্র ক্রয়ের বিপুল পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে দেশটিতে পাচার হচ্ছে বলেও অসমথিত সূত্র জানায়। কোনো ব্যয় না করেই সিন্ডিকেটের বিশেষ কোডে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুকর্মীদের অভিবাসন ব্যয়ের টাকা যোগাতে নাভিশ্বাস উঠছে। অনেকেই চড়া সুদে ঋণ গ্রহণ, ভিটেমাটি ও গবাদিপশু বিক্রি করে মালয়েশিয়ায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। দিন দিন মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু পরিবারগুলো ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
প্রথমে ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে বায়রা নির্বাচনের পর আরো ৭৫ রিক্রুটিং এজেন্সিকে দেশটিতে কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়। এসব এজেন্সিকে পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছে মাত্র। তাদের কর্মী প্রেরণের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। হায়দরী ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পাটনার সৈয়দ গোলাম সরওয়ার ইনকিলাবকে বলেন, ৭৫টি নতুন রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের পাসওয়ার্ড পেয়েছে। হায়দরী ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এ যাবত ১১৯ জন কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র পেয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জন কর্মীর কলিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে। এসব কর্মীদের আগামী মাসে ফ্লাইট দেয়া সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মালয়েশিয়ায় চাকরি নিয়ে যাওয়ার আশায় মেডিকেল সেন্টারগুলোতে হাজার হাজার কর্মী হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে প্রায় ৬০টি মেডিকেল সেন্টার মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুকর্মীদের কাছ থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্যে ২৬০০ টাকা (১০০ রিংগিত) মাইগ্রামসকে গত ২৬ অক্টোবর থেকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। এর আগে যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছে তাদের প্রত্যেকের জন্য ২৬০০ টাকা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে চাপ দিচ্ছে মাইগ্রামস। একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি এতথ্য জানিয়েছে। মালয়েশিয়াগামী কর্মী গমনে চলছে ধীরগতি। বাংলাদেশ থেকে কর্মী গমন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার দরুণ দেশটিতে প্রচুর কর্মীর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও গতি বাড়ছে না জনশক্তি রফতানিতে।
দীর্ঘ চার বছর পর দেশটিতে গত তিন মাসে বিএমইটি থেকে কর্মী নিয়োগের ছাড়পত্র ইস্যু হয়েছে মাত্র ১০ হাজার কর্মীর। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের নিয়োগানুমতি পেতে এজেন্সির মালিকদের গলদঘর্ম পোহাতে হচ্ছে। টেবিলে টেবিলে নানা প্রকার হয়রানি এবং চরম উদাসিনতার দরুণ বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে কর্মীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে বলে একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি জানিয়েছে। দেশটিতে ছয় লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী কঠোর পরিশ্রম করে প্রচুর রেমিট্যান্স দেশে পাঠাচ্ছে। কর্মী প্রেরণের গতি বাড়ানো সম্ভব হলে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণও বাড়বে। একাধিক জনশক্তি রফতানিকারক এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে, ডলার সঙ্কটের মধ্যে রেমিট্যান্সে ভাটার টান শুরু হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৪ টাকা হিসাবে) এর পরিমাণ ১৫ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। গত ৮ মাসের মধ্যে এটিই প্রবাসীদের পাঠানো এক মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। গত ১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কর্মী নিয়োগ শুরু থেকে ৩ বছরের মধ্যে দেশটিতে প্রায় ৫ লাখ কর্মী যাওয়ার সম্ভাবনা কথা জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সরওয়ার। কর্মী প্রেরণে ধীরগতি অব্যাহত থাকলে দেশটিতে ৫ লাখ কর্মী যাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিবে।
বায়রার একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রান্ত থেকে কর্মী পাঠানোর গতি না বাড়ালে আবারও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার হাত ছাড়া হবার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মালয়েশিয়ার জাতীয় সাধারণ নির্বাচন আগামী ১৯ নভেম্বর। নির্বাচনের পরে সদ্য বিদায়ী সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে কর্মী নিয়োগ বন্ধ হবার সম্ভাবনা আছে বলে অনেকেই শঙ্কিত। তারা বহির্বিশ্বে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের নিয়োগানুমতি ও বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম সহজীকরণের জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় বহির্বিশ্বের শ্রমবাজারে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মী নিয়োগের সত্যায়নের ফাইলের স্তূপ রয়েছে। হাইকমিশনে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার। কোম্পানি যাচাই বাছাইয়ের নামে কর্মী নিয়োগের ফাইলে সত্যায়ন কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ায় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারাও ক্ষুব্ধ হচ্ছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১ লাখ ৫ হাজার কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন দেয়া হয়েছে। আরো ৩৫ হাজার কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন দেয়া বাকি রয়েছে। কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম উইংয়ের মিনিস্টার নাজমুস সাদাত সেলিম গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মিনিস্টার সেলিম বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন দ্রুত ইস্যু করছে। কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন প্রদানে কোনো প্রকার হয়রানি ও অনিয়মের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ১ লাখ ৫ হাজার কর্মী নিয়োগের সত্যায়ন দেয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশ থেকে গতকাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কত কর্মী এসেছে তার চিত্র দেখা গেলেই বুঝবেন মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে ধীরগতিটা কোথায়?
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকেও মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের নিয়োগানুমতি পেতে অহেতুক বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে দেশটিতে কর্মী গমনের কার্যক্রমে বাড়ছে না গতি। মালয়েশিয়ার সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার ধরে রাখতে এবং রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি বাড়াতে কর্মী নিয়োগানুমতি ও বহির্গমন ছাড়পত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যু করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রিক্রুটিং এজেন্সি নিউ এইজ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. সওকত হোসেন সিকদার।
তিনি বলেন, প্রবাসী মন্ত্রণালয় থেকে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুকর্মীদের নিয়োগানুমতি ও বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যুতে জটিলতা কিছুটা কমেছে। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির বাজার ধরে রাখতে হলে কর্মী নিয়োগানুমতি ও বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম আরো সহজীকরণ করতে হবে। অন্যথায় দেশটির শ্রমবাজার হাত ছাড়া হবার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, কর্মী পাঠাতে বিলম্ব হওয়ায় দেশটির নিয়োগকর্তারা চরমভাবে ক্ষুব্ধ হচ্ছে। তিনি বলেন, এ যাবত ৫ হাজার কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র পেয়েছি। এদের মধ্যে ৭০০ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানো সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে সওকত হোসেন সিকদার বলেন, ঢাকাস্থ মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে ভিসা ইস্যু কার্যক্রমে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। আগে ভিসার জন্য হাইকমিশনে পাসপোর্ট জমা দিলে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ভিসা পাওয়া যেতো। গত ১ মাস যাবত পাসপোর্ট জমা দেয়ার ১০ থেকে ১৫ দিনেও কর্মীর ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে হাইকমিশনে মালয়েশিয়াগামী প্রচুর কর্মীর পাসপোর্ট জমা পড়েছে।
আল-রাবেতা ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিতে সাড়ে ৩ হাজার কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র লাভ করেছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মালিন্দো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং (ওডি নং-১৬৫) যোগে ২৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ার ডোমিনিয়ন রাবার কোম্পানি এসডিএন বিএইচডিতে পাঠানো হয়েছে। আল-রাবেতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও বায়রার নবনির্বাচিত সদস্য আবুল বাসার গতকাল কুয়ালালামপুর থেকে জানান, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে আমরা উভয় দেশের নিয়মনীতি অনুসরণ করেই পাঠাচ্ছি। তিনি কর্মী নিয়োগানুমতি ও বহির্গমন ছাড়পত্র দ্রুত ইস্যুর ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের নিয়োগানুমতির ফাইল বিএমইটিতে আসতে ৪ দিন লেগে যায়। তার পরেও শাখা থেকে বলা হয় অ্যাম্বুজ কপি লাগবে। এ ভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে কয়েক দিন সময় লেগে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ৭০০ ভিসা স্ট্যাপিং হয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ কর্র্মী মালয়েশিয়ায় গেছে।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার সরকারের নতুন বেতন কাঠোমো অনুযায়ী তারা প্রতিমাসে অন্তত পক্ষে ১৫০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত অর্থাৎ বাংলাদেশি প্রায় ৩৭ হাজার টাকা বেতন পাবেন। এছাড়া তারা মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ওভার টাইম, বিনামূল্যে বাসস্থান, স্বাস্থ্য বীমা, কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত বীমাসহ অন্যান্য সব সুবিধা পাবেন।
এদিকে, মালয়েশিয়ায় চলতি বছরে ১৯ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার করা হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৯ হাজার ৯৪৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। গত ৪ নভেম্বর সিনার হারিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমিগ্রেশন পরিচালক খায়রুল জায়মি দাউদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছে, ইন্দোনেশিয়ানরা সবচেয়ে বেশি ৮ হাজার ৬৭৯ জন, তারপরে মিয়ানমার ২ হাজার ৯৩৯, বাংলাদেশ ২ হাজার ৭৬৭, থাইল্যান্ড ১ হাজার ৩৯৬ এবং ভারত ১ হাজার ২৬০। বাকিরা হলোÑ ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম এবং চীনসহ অন্যান্য দেশে অভিবাসী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mozammal ৯ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৫৪ পিএম says : 0
Malaysia hidden cost 1,85,000 Taka Malaysia jete akekjoner 3,50,000 taka lagtese. Medical 10,000 ay mot 3,60,000 Taka,shorkar kivabe78,900 taka nirdharon korlo aytaamar prosno
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন