নীলফামারীর সৈয়দপুরের জমিতে অত্যন্ত দুর্লভ ইন্দোনেশিয়ার বø্যাকরাইস ধান শোভা পাচ্ছে। আর এই অসাধ্য সাধন করেছেন সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর দেওয়ানিপাড়া গ্রামের কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বাবু।
ইন্দোনেশিয়ার বø্যাকরাইস চাল সহজে পাওয়া যায় না। কোথাও পাওয়া গেলে দুর্লভ এই চালের দাম প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। সৈয়দপুর উপজেলার মধ্যে কৃষক শফিকুল ইসলাম বাবু এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, শফিকুল ২২ শতক জমিতে ইন্দোনেশিয়ার বø্যাকরাইস ধান চাষ করেছেন। বর্তমানে তিনি এই ধান নিয়ে আশার আলো দেখছেন। উপজেলার মাটিতে প্রথমবারের মত বিদেশি ধানের চাষ অনান্য কৃষকদের মাঝেও আগ্রহ বাড়িয়েছে।
বø্যাকরাইস ধানের বীজ ও চাষের বিষয়ে শফিকুল জানান, এই ধান নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে বø্যাকরাইস সম্পর্কে জানতে পারি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর চট্টগ্রাম থেকে ধানের বীজ এনে চাষাবাদ শুরু করি। মাত্র ৫০০ গ্রাম ধানের দাম এক হাজার টাকা। ধান থেকে চাল করার পর এক কেজির দাম ৮০০ টাকা।
তিনি বলেন, এই ধানের ফলন ভালো এবং অল্প সময়েই অধিক ফলন পাওয়া যায়। ৯০ দিন হলেই ধান কাটা যায়। এই ধানে সার ও বিষ ব্যবহার না করলেও চলে। পোকামাকড়ের কোনো বালাই নেই। ফলন প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ হতে পারে।
বø্যাকরাইস ধানের বৈশিষ্ট্য হলো, এর গাছ ও পাতা দেখতে স্বাভাবিক ধান গাছের মতো। কিন্তু ধানের শিষ এবং চাল সবকিছুই লালচে কালো ও চিকন। আর চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। সে জন্যই চালের দামও বেশি। এমন একটি ধান সৈয়দপুরে প্রথম চাষ করতে পেরে আনন্দের যেন কমতি নেই কৃষক শফিকুল ইসলাম বাবুর।
জানা গেছে, বø্যাকরাইস ধানে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিজেন থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক পরিষ্কার করে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে ফুরফুরে রাখে। এতে থাকা ফাইবার হার্টকে রাখে সুস্থ। কালো চাল ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমতা সাহা ইনকিলাবকে বলেন, বø্যাকরাইস ধান বিদেশি জাত। যদিও সরকারিভাবে দেশে এখনো এর চাষাবাদ শুরু হয়নি। সৈয়দপুরে এমন জাতের ধানের চাষ এই প্রথম। ভালো ফিডব্যাক পেলে তা উপজেলার অনান্য জায়গাতেও চাষাবাদ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন