পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা গ্রামে পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য রিসাং ঝর্ণা। মারমা রিসাং শব্দের অর্থ উঁচু স্থান থেকে পানির ধারা গড়িয়ে পড়া। ঝর্ণায় যাওয়ার পথও দারুণ রোমাঞ্চকর। দূরের উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড়, জুমঘর, বুনো ঝোপসহ নাম না জানা অসংখ্য বুনো ফুল যেন অভ্যর্থনা জানাবে।
এমন অপরূপ পরিবেশে মুগ্ধ হতেই হয়। চারদিকে শুধুই সবুজের সমাহার। পাহাড়ি বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির শব্দ। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র থেকে রিসাং ঝর্ণার দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। রিসাং থেকে প্রায় ২০০ গজ ভেতরে আরও একটি ঝর্ণা রয়েছে। এটি ‘অপু ঝর্ণা’ নামে পরিচিত।
পর্যটকরা যাতে সহজে ঝর্ণায় পৌঁছাতে পারেন সেজন্য পাকা সিঁড়িপথ তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ৩০ মিটার উঁচু সবুজ পাহাড় থেকে পানি আছড়ে পড়ার মনোরম দৃশ্য দিনভর উপভোগ করার মত। আর চাইলেই রিসাং ঝর্ণার পানিতে অনায়াসেই শরীর জুড়িয়ে নেওয়া যায়।
খাগড়াছড়ি শহর থেকে রিসাং ঝর্ণার দূরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি থেকে সরাসরি জীপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, চান্দের গাড়ি বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে ঝর্ণার পাদদেশে এসে পাহাড়ি রাস্তায় কিছুটা পথ হাঁটলেই অপূর্ব ঝর্ণা দেখা যায়।
শীত আসতে এখনো কিছুটা দেরি। তারপরও স্থানীয়রা প্রায় প্রতিদিনই ছুটছেন রিসাং ঝর্ণা দেখতে। অনেকেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে বেড়াতে যান। আবার খাগড়াছড়ি ছাড়াও পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটির দিনে এসে ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করে শেষ বিকালেই ফিরে যান।
রিসাং ঝর্ণা দেখতে হলে খাগড়াছড়ি সদর থেকে লোকাল বাস বা চান্দের গাড়িতে ঢাকার পথে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে আলুটিলা গুহার সামনে যেতে হবে। আলুটিলা থেকে পরবর্তী গন্তব্য প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে হৃদয় মেম্বারের এলাকা। লোকাল বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৫ টাকা। হৃদয় মেম্বারের এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার হেঁটে বা বাইকে চড়ে রিসাং ঝর্ণার সামনে পৌঁছাতে হয়। শুধুমাত্র যাওয়ার জন্য জনপ্রতি বাইকের ভাড়া ৫০, আর ফেরার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন