রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের রূপরেখা তৈরি -আইনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য আইনের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিবন্ধন পরিদপ্তরাধীন রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স এর হেলপ ডেস্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের মাধ্যমেই জামায়াতে ইসলামী ও তার দোসরদের বিচার করা হবে এবং বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। যুদ্ধাপরাধীরা সঠিক পথে সম্পত্তি আহরণ করেননি। তাই তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আইন প্রণয়ন করা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা দেশের কল্যাণে কাজে লাগানো হবে। আইনমন্ত্রী নকল নবিশদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা কলম বিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করুন। আপনাদের বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বকেয়া পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ৫০ কোটি টাকা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। আগামীতে আপনাদের প্রতি মাসের পাওনা যাতে প্রতি মাসে পান সে চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, নিবন্ধন পরিদপ্তরকে আরো জনবান্ধব হতে হবে। জমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বাস্তবমুখী সর্বনিম্ন বাজার মূল্য নির্ধারণ করতে হবে যাতে কোন একক গোষ্ঠী বা শ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত না হন। বাজার দর ও দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এনে জমির নিবন্ধন ফি পুননির্ধারণ করতে হবে। জনগণকে হয়রানী না করে আগামীতে রাজস্ব আয় আরো বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আগামী বাজেটের আগেই নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হবে। তিনি আরো বলেন, ২১ বছর পর বিচার শুরুর পর এটি শেষ হতে লেগেছে আরো ১৪ বছর। কারণ, বর্তমান সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের মাধ্যমে এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতির সমাপ্তি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে একটা মর্যাদার আসনে পৌঁছে দেওয়া। কোন মানুষকে যেন ভিক্ষা করতে না হয়, কারো কাছে হাত পাততে না হয় সে অবস্থানে প্রতিটি মানুষকে পৌঁছে দেয়া।
আপিল বিভাগের কিছু উক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বর্তমানে বিদেশ সফরে আছেন। এখন এ বিষয়ে বক্তব্য দিলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তাই তিনি দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে আমার প্রতিক্রিয়া জানাবো।
নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এবং ঢাকা জেলা রেজিস্ট্রার দীপক কুমার সরকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন