শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সুপ্রিম কোর্টের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের জানাজা সম্পন্ন

প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলামের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের গার্ডেনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেনÑ আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, সাবেক প্রধান বিচারপতি এম রুহুল আমিন, এম তাফাজ্জল ইসলাম ও মোজাম্মেল হোসেন, আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মির্জা হোসেইন হায়দার, মো. নিজামুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, মওদুদ আহমদ, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের সহস্রাধিক আইনজীবী। জানাজা শেষে মরুহমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজান করা হয়। জানাজা শেষে লাশ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, বার কাউন্সিল, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও ঢাকাস্থ রংপুর আইনজীবী সমিতি। এর আগে মাহমুদুল ইসলামের রুহের প্রতি শাস্তি কামনা করে বক্তব্য দেন তার বড় ছেলে আসিফ ইসলাম। মাহমুদুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দুপুর ১টা ও আপিল বিভাগে সকাল ১১টার পর বিচার কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন প্রধান বিচারপতি। আইনাঙ্গনের সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মাহমুদুল ইসলামের লাশ তার গ্রামের বাড়ি রংপুরে নেয়ার কথা রয়েছে। সেখানে তৃতীয় জানাজার শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি তার মালিবাগের বাসায় কুলখানির আয়োজন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, মাহমুদুল ইসলাম সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাহমুদুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। তার লেখা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে Ñ কনস্টিটিউশনাল ল অব বাংলাদেশ ও ইন্টারপ্রিটেশন অব স্ট্যাটিউটস অ্যান্ড ডকুমেন্টস। তিনি দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্টায়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা ও ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে অতুলনীয় অবদান রেখেছেন।
শোক প্রকাশ
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে দেশের বিচার বিভাগ ও আইন অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আইনমন্ত্রী মাহমুদুল ইসলামের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন