বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সারাদেশে বিজয় দিবস উদযাপিত

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করা জাতির বীর সন্তানদের চির স্মরণে রাখার অঙ্গীকার আর বিনম্র শ্রদ্ধায় বিজয় দিবস উদযাপন করল বাংলাদেশ। সারা দেশে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। বিনম্র শ্রদ্ধায় কৃতজ্ঞ জাতি ত্রিশ লাখ শহীদকে আরো একবার জানিয়ে দিল, তোমাদের স্মৃতি বাঙালির হৃদয়ের মণিকোঠা থেকে কখনো মুছে যাবে না। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দিবস উপলক্ষে সব সরকারি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হয় আলোকসজ্জার ব্যবস্থা। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও রঙ-বেরঙের পতাকায় সাজানো হয়। জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মের উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, শিশু পরিবার ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানগুলোয় উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করা হয়।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চন্দ্রিমা উদ্যান, রমনা, সংসদ ভবন এলাকা, ঢাবির টিএসসি, কলাভবন, কার্জন হলসহ গোটা রাজধানীজুড়ে ছিল উপচেপড়া মানুষের ভিড়। কণ্ঠে তাদের বিজয়ের গান। মুখম-লে আঁকেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকাসহ নানা আলপনা। মাথায় জাতীয় পতাকা ও লাল-সবুজ টি-শার্ট পরে টিএসসিতে হই-হুল্লোড়েই ব্যস্ত ছিল প্রতিটি প্রাণ। বিজয়ের চেতনা ধারণ করে ছবি তোলার অলিখিত প্রতিযোগিতা চলছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে চলে নৃত্য, অঙ্কন, রক্তদান কর্মসূচি, পথনাটক ও আলোচনা সভা। চলে সঙ্গীত ও গণসঙ্গীত পরিবেশনও।
বিজয় শোভাযাত্রায় লাখো মানুষের বাঁধভাঙা স্রোত নামিয়ে মহান বিজয় দিবসে রাজধানীতে বড় শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনস্থ এই দীর্ঘ সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কজুড়েই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটির বর্ণাঢ্য মনোলোভা বিজয় র‌্যালিতে নেমেছিল মানুষের ঢল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজির বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। অন্ধকার আকাশ হয়ে ওঠে আলোকিত। গানের তালে মহান বিজয় আনন্দে মেতে ওঠে হাজারো শিক্ষার্থী। বিজয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আবাল-বৃদ্ধ-বণিতারা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় রাজধানীর বিভিন্ন পেশার নানাবয়সী মানুষ। এছাড়া পুরো দিন জুড়েই ছিল নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিজয় উদযাপনে রাজধানীতে বেলা দুইটায় হাতিরঝিলে আয়োজন করা হয় আকর্ষণীয় নৌকা বাইচ। একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হবে স্পিডবোট সার্ভিস। ভাড়ার বিনিময়ে হাতিরঝিলের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে যাওয়া যাবে এই নৌযান ব্যবহার করে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সাইক্লিস্টদের মোর্চা বিডি সাইক্লিস্ট সকালে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির সামনের ৩০০ ফুট সড়ক থেকে বের করে শোভাযাত্রা। বিকালে সারাদেশে একযোগে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। রাজধানীতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন ছিল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। বিকাল পাঁচটায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের থ্রিজি লেজার শো মৃত্যুঞ্জয়ীতে ফুটিয়ে তোলা হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের অর্জন।
অন্যদিকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আয়োজন করা হয় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উৎসব। এতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করছেন শিল্পীরা। এছাড়া শিশু-কিশোরদের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরতে বিশেষ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে জাদুঘরে।
দিবসটি উপলক্ষে সকল ধরনের সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ পালন করে। এ সব সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণফোরাম, ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ। এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, বাংলা একাডেমী, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, প্রবিকা মানসিক উন্নয়ন কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ইনসাবের আলোচনা সভা, উদীচী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে। এই সব সংগঠন ছাড়াও রাজধানীসহ বিভাগীয়, জেলা, থানায় পর্যায়ে পালন করা হয়েছে মহান বিজয় দিবস।
পর ঘণ্টা। বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে চলে নৃত্য, অঙ্কন, রক্তদান কর্মসূচি, পথনাটক ও আলোচনা সভা। চলে সঙ্গীত ও গণসঙ্গীত পরিবেশনও।
বিজয় শোভাযাত্রায় লাখো মানুষের বাঁধভাঙা স্রোত নামিয়ে মহান বিজয় দিবসে রাজধানীতে বড় শোভাযাত্রা করেছে আওয়ামী লীগ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনস্থ এই দীর্ঘ সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কজুড়েই মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলটির বর্ণাঢ্য মনোলোভা বিজয় র‌্যালিতে নেমেছিল মানুষের ঢল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আতশবাজির বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। অন্ধকার আকাশ হয়ে ওঠে আলোকিত। গানের তালে মহান বিজয় আনন্দে মেতে ওঠে হাজারো শিক্ষার্থী। বিজয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আবাল-বৃদ্ধ-বণিতারা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় রাজধানীর বিভিন্ন পেশার নানাবয়সী মানুষ। এছাড়া পুরো দিন জুড়েই ছিল নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিজয় উদযাপনে রাজধানীতে বেলা দুইটায় হাতিরঝিলে আয়োজন করা হয় আকর্ষণীয় নৌকা বাইচ। একই সঙ্গে উদ্বোধন করা হবে স্পিডবোট সার্ভিস। ভাড়ার বিনিময়ে হাতিরঝিলের এক প্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে যাওয়া যাবে এই নৌযান ব্যবহার করে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। সাইক্লিস্টদের মোর্চা বিডি সাইক্লিস্ট সকালে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির সামনের ৩০০ ফুট সড়ক থেকে বের করে শোভাযাত্রা। বিকালে সারাদেশে একযোগে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। রাজধানীতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন ছিল জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। বিকাল পাঁচটায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের থ্রিজি লেজার শো মৃত্যুঞ্জয়ীতে ফুটিয়ে তোলা হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধের অর্জন।অন্যদিকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আয়োজন করা হয় ১৬ ডিসেম্বর বিজয় উৎসব। এতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করছেন শিল্পীরা। এছাড়া শিশু-কিশোরদের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরতে বিশেষ আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে জাদুঘরে।
দিবসটি উপলক্ষে সকল ধরনের সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ পালন করে। এ সব সংগঠনের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয় পার্টি, জাসদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণফোরাম, ন্যাশনাল ডেমক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা লীগ। এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, বাংলা একাডেমী, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, প্রবিকা মানসিক উন্নয়ন কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, ইনসাবের আলোচনা সভা, উদীচী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে। এই সব সংগঠন ছাড়াও রাজধানীসহ বিভাগীয়, জেলা, থানায় পর্যায়ে পালন করা হয়েছে মহান বিজয় দিবস।
যশোর ব্যুরো জানায় : যশোরে নানা কর্মসূচির মধ্যে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়। বিজয়স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা, আলোচনা সভায় স্বাধীনতাযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারীদের বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে জাতীয় সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ূন কবীর ও পুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমান।
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলাদেশ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অপরিহার্য এবং কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব জিয়াউর রহমানকে বিভিন্নভাবে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এখন চলছে তার কবরকে নিয়ে ষড়যন্ত্র। সংসদ ভবনের পাশে অবস্থিত সমাধি সরানোর যে জোর চক্রান্ত হচ্ছে, জনগণকে সাথে নিয়ে ইনশাআল্লাহ সে চক্রান্ত রুখে দেয়া হবে।
দিনাজপুর অফিস জানায়  : বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে স্মৃতিসৌধে প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১মিনিটে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এমপি এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মো: হামিদুল আলম। শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সদর আসনের সাংসদ ও সরকার দলীয় হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি। এরপর জেলা প্রশাসক ডা: এ এম পারভেজ রহিম, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনি, সিভিল সার্জন ডা: আনোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে জেলা আইওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দনকুমার পাল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক আশীষ, আলহাজ মো: হযরত আলী, শহর সভাপতি বিএনপির অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবকের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
মাগুরা জেলা সংবাদদাতা জানান, মাগুরায় গতকাল কর্মসূচির মধ্যে ছিল দিনের শুরুতে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের  দিবসটির শুভ সূচনা, সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধাদের কুজকাওয়াজ, জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো: মুনিবুর রহমান কর্তৃক সালাম গ্রহণ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী, জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং সুবিধামত সময়ে মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। জেলা প্রশাসক ড. মো: আমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার মো: মোজাম্মেল হক বিপিএম, পিপিএম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন, নওগাঁ পৌর মেয়র আলহাজ নাজমুল হক সনি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, জেলা প্রেসক্লাব, জেলা বিএনপি, আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক  অর্পণ করেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জে স্বাধীনতা, বিজয় স্তম্ভ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ বধ্যভূমিতেও ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এছাড়া গোপালগঞ্জ শেখ কামাল স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক মোঃ মোখলেসুর রহমান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মহান বিজয় দিবসের শোভাযাত্রা করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীতে রাত ১২টা ১ মিনিটে তোপধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর স্থানীয় স্বাধীনতা স্মৃতি অমøানে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকালে জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াচ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ জাকীর হোসেন।
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, অসাম্প্রদায়িক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে গতকাল শুক্রবার নেত্রকোনায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়।
শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, শরীয়তপুরে শুক্রবার সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালনের শুভ সূচনা করা হয়।
এরপরই শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলাবাসীর পক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার সাইফুলাহ আল মামুন। এরপরে পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ এবং সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় সহ¯্রাধিক শিশুর কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীতে মুখরিত হয়েছে তালা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল। এখানে সোনার বাংলা যুব সংগঠণের আয়োজনে ব্যতিক্রমভাবে মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৮ টায় গ্রামঞ্চলের মেঠো পথ ঘুরে সোনার বাংলা স্লোগান দিয়ে শিশুদের নিয়ে একটি র‌্যালি বের হয়। পরে তালা উপজেলার খলিশখালি ইউনিয়নের পারমাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় সহ¯্রাধিক কন্ঠে জাতীয় সংগীত।
নড়াইল জেলা সংবাদদাতা জানান, দিবসটি পালন উপলক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। পরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে  স্মৃতি সৌধ, গণকবর ও বধ্য ভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, গণকবর জিয়ারত ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
বি’বাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪৫তম বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের সূচনা করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান শহরের ফারুকী পার্কের স্মৃতি সৌধে শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, রাত ১২টা এক মিনিটে লক্ষীপুর ৩ আসনের এমপি এ কে এম শাহাজান কামাল, লক্ষীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্যা আল নোমান, জেলা প্রশাসক মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, পৌর মেয়র আবু তাহের, জেলা আ’লীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি-বেসরকারি ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা মুক্তিযোদদা কমান্ড, স্থানীয় এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুদার, নাটোর পৌরসভার মেয়ন উমা চৌধুরী জলিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে চাষাড়া বিজয়স্তম্ভে মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জেলার সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১মিনিটে চাষাড়া বিজয়স্তম্ভে শুরুতে সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ হোসনে আরা বাবলী, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিঞা, পুলিশ সুপার মঈনুল হক পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তোপধ্বনি করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে জানান, নরসিংদীতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবন, দোকানাপাট ও বাড়িঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।
ধামরাই উপজেলা সংবাদদাতা জানান,  মহান বিজয় দিবসকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে ধামরাই পৌরসভায়স্মরণকালের দীর্ঘ বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।  
পৌরবাসীর অংশগ্রহণে সকলের হাতে জাতীয় পতাকা ও  বাংলার ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়ি দুইটি, সাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের ৪০টি বাইসাইকেল ও তিনশ’ মোটরসাইকেল এবং ৩৫টি পিকআপ ভ্যানের সমন্বয়ে এক বর্ণ্যাঢ্য  বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে টঙ্গীতে গতকাল আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। টঙ্গী থানা জাসাস সভাপতি আনিসুর রহমান মিরনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আউচপাড়া সুলতানা রাজিয়া রোডে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার। বক্তব্য দেন গাজীপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি যুবদল নেতা প্রভাষক বসির উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি মো: আব্দুস সামাদ মোল্লা প্রমুখ।
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, পাবনায় জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ  পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন, বিএনপি, পাবিপ্রবি, বিভিন্ন কলেজ প্রেসক্লাব, আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী নানা আয়োজন করে। রাতের প্রথম প্রহরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন