ইতালির ঐতিহাসিক নগরী ভেনিস নয়; তবে ইংল্যান্ডের টেমস নদীর আদলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বুড়িগঙ্গাকে। রাজধানী ঢাকার নদীগুলো বাঁচাতে বিশ্ব ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে এবং এর চারপাশে থাকা নদীগুলো পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধনে সংস্থাটির কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ঢাকা ট্রান্সফরমেশন পার্টনারশিপ : টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স (টিএ) টু ডিজাইন এন আম্রেলা ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম ফর দ্য রেস্টোরেশন অব দ্য রিভার সারাউন্ডিংস ঢাকা সিটি’ বিষয়ক একটি প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকে প্রস্তাবটি জমা দেয়া হয়। প্রস্তাবে আম্রেলা ইনভেস্টমেন্ট কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহরের আশপাশের নদীগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বিনিয়োগ কর্মসূচি ডিজাইন করতে বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে।
দুর্গন্ধময় বুড়িগঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন টলটলে পানি এবং নদীকে দৃষ্টিনন্দন করতে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবিউটিএ)। একই সঙ্গে ঢাকার চারপাশের অন্য চার নদী শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ, ধলেশ্বরীকে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। এছাড়াও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা প্রাণ বাঁচাতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ১০ বছর মেয়াদি দুইটি মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে এবং নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা হবে। আর এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ২০ বিলিয়ন ডলার দিতে প্রস্তুত বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধির সঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বৈঠক হয়েছে।
প্রস্তাবে আম্রেলা ইনভেস্টমেন্ট কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহরের আশপাশের নদীগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বিনিয়োগ কর্মসূচি ডিজাইন করতে বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ অফিস জানায়, এ কর্মসূচির (ইউআইপি) নকশা করার জন্য বিশ্ব ব্যাংক একটি প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। যার মাধ্যমে নদীগুলো পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে ঢাকাকে বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এ বিষয়ে পরামর্শমূলক পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকে বাংলাদেশ জানিয়েছে, নদী পুনরুদ্ধার একটি জটিল বিষয়। এখানে অনেক সেক্টর এবং স্টেকহোল্ডার জড়িত রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সঠিক পরিকল্পনায় সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনার জন্য একটি সামগ্রিক কৌশল এবং একটি সময়োপযোগী পদ্ধতির প্রয়োজন।
টেকনিক্যাল প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো প্রস্তাবিত আম্রেলা প্রকল্প ঢাকার নদীগুলোর জন্য নকশা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধা দেবে। চলমান প্রচেষ্টার ওপর একটি বেসলাইন মূল্যায়ন, সমাধানের জন্য দিক-নির্দেশসহ একটি সামগ্রিক কৌশলের বিকাশ প্রয়োজন। নদীগুলোর অধীনে প্রকল্পগুলোকে আরও ভালোভাবে অগ্রাধিকার, সারিবদ্ধ এবং বাস্তবায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ দরকার। টিএ (টেকনিক্যাল অ্যাসিসটেন্স) মূলত এ কৌশলগত পরিকল্পনা উন্নত করতে সহায়তা করবে। এ প্রকল্পের আওতায় ডেটা সংগ্রহ, স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ, প্রাতিষ্ঠানিক প্রেক্ষাপট এবং আইনি কাঠামো পর্যালোচন করা হবে। বিদ্যমান প্রাসঙ্গিক পরিকল্পনা এবং প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন, সামগ্রিক ঢাকার চারপাশের নদী পরিকল্পনার অবস্থা হালনাগাদ করা হবে। নদীগুলোর নকশা করার জন্য একটি আদর্শ পদ্ধতির প্রস্তাব করা হবে। ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য একটি হাতিয়ার হিসেবে আম্রেলা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। নদী পুনরুদ্ধারে সরকারের যৌথ প্রচেষ্টাকে একত্রিত করতে একটি রোডম্যাপ তৈরিতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।
দখল-দূষণে এসব নদীর বর্তমানে ত্রাহি অবস্থা। আশপাশের কলকারখানার বজ্র্য ফেলা পানি নষ্ট করছে; অন্যদিকে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। অনেক এলাকায় জমিখেকো, ভূমিখেকো, স্থানীয় প্রভাবশালীদের পাশাপাশি সরকারের কিছু প্রতিষ্ঠান নদীরপাড় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। মাঝেমধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা হয়। কিন্তু কোনো সুফল হয়নি। এমনকি কয়েক বছর আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে রাজধানী ঢাকার চারপাশে নদীতে ওয়াটার বাসের রুট চালু করা হয়। কয়েকদিন পর সেটা মুখ থুবড়ে পড়ে। তবে বুড়িগঙ্গাকে দৃষ্টিনন্দন করতে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। অপরদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও (ডিএসসিসি) নদীটির পুরোনো চ্যানেল নিয়ে পরিকল্পনা নিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী নদীর আদি চ্যানেল উদ্ধার করে সেখানে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী প্রধান প্রকৌশলী মো. মহিদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী বাঁচাতে ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। নদী রক্ষা এ নতুন প্রকল্পে ২০ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক। তারা এখনো ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রকল্পের জরিপ কাজ করছে।
আদিযুগে সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদীর পাড়ে। বিশ্বের বহু শহর গড়ে উঠেছে নদীর পাড়েই। রাজধানী ঢাকা শহর ৪০০ বছর আগে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠে। কিন্তু এক সময়ের উচ্ছল বুড়িগঙ্গা এখন প্রাণহীন দুর্গন্ধময় নদীতে পরিণত হয়েছে। রাজধানীকে ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, তুরাগ, ধলেশ্বরী এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা প্রাণ বাঁচাতে ১০ বছর মেয়াদি দুইটি মহাপরিকল্পনা (মাস্টারপ্ল্যান) চূড়ান্ত করেছে সরকার। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে হারিয়ে যাওয়া নদীগুলো প্রাণ ফিরে পাবে। সেই নদীপথগুলো দেশের ভৌগোলিক এবং আর্থিকভাবেও সাহায্য করবে। এবার নদী রক্ষায় মহাপরিকল্পনায় প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বব্যাংক। নদীর দূষণ, দখল ও নাব্য এ তিন সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলো থেকে রক্ষায় এ মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। ১০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা দুটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে এবং নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা হবে। এসব নদী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ছাতা বিনিয়োগ কর্মসূচি (ইউআইপি) ডিজাইন তৈরি করতে প্রযুক্তিগত সহায়তার কাজ করছে। এছাড়া নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে অত্যাধিক ব্যয় প্রস্তাব দিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে একই ধরনের অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় এ ব্যয় বেশি বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। এতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পুনর্গঠিত ডিপিপিতে ৯ দশমিক ৯৩৫ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৩৪ কোটি ৭২ লাখ ৭১ হাজার টাকা টাকা। প্রতি কিলোমিটারে খরচ হবে ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। নদী তীর সংরক্ষণ কাজের ক্ষেত্রে নদীর গতি প্রকৃতি বিবেচনায় দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোর তীর প্রতিরক্ষায় সর্বাধিক ব্যয় হয়ে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে সমজাতীয় অন্যান্য প্রকল্পের তুলনায় বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে।
ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি মার্টিন রাইজারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকের পর সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সাবেক সহ-সভাপতি হার্টউইগ শ্যাফারের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তারা ঢাকার চারপাশের নদী বাঁচাতে ২০ বিলিয়ন ডলার দিতে প্রস্তুত। অর্থমন্ত্রী বলেন, ঢাকা নদী দ্বারা বেষ্টিত এবং আমরা সেই ডোবা নালাগুলোর সাথে একই কাজ করতে পারি। সেই নদীগুলো হারিয়ে যাবে না এবং সেই নদীপথগুলো আমাদের ভৌগোলিক এবং আর্থিকভাবেও সাহায্য করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নদীগুলো তার হারিয়ে যাওয়া প্রাণ ফিরে পাবে।
নদী রক্ষা টাস্কফোর্স কমিটির সভপতি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে ধাপে ধাপে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে নদীগুলো ড্রেজিং করা হবে। পলি পড়ে নদীর বেডগুলো উঁচু হয়ে গেছে, সেগুলোতে আগের জায়গায় নিতে হবে। পানি দূষিত হয়ে গেছে, পানি ট্রিট করতে হবে। পানিতে আর যাতে দূষিত পদার্থ না যায়, সেজন্য সোর্সগুলো বন্ধ করতে হবে।
নদীগুলোর দূষণ, দখল এবং নাব্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের শাখা নদী, খালগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণসহ বাস্তবিক ধারণা নিয়ে এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্প পর্যালোচনা করে মাস্টারপ্ল্যান দুটি প্রস্তুত করা হয়েছে। নদীদূষণ, দখল রোধ এবং নাব্য বৃদ্ধিতে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে চার ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ক্যাশ প্রোগ্রাম (১ বছর), স্বল্পমেয়াদি (৩ বছর), মধ্যমেয়াদি (৫ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদি (১০ বছর)। মাস্টারপ্ল্যানে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও কার্যাবলি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর জন্য মাস্টারপ্ল্যানে ২৪টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৮০টি সহযোগী কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীর জন্য মাস্টারপ্ল্যানে ৪৫টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৬৭টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তুরাগ নদীকে ‘লিগ্যাল পারসন’ তথা আইনগত ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে দেশের নদ-নদীকে ‘জীবন্ত সত্তা’র স্বীকৃতি দেন হাইকোর্ট। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নদী দূষণরোধে বর্জ্যের উৎসমুখ বন্ধ করে বর্জ্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে সরকার। নদীগুলো দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনাটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পরিকল্পনাটি ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ, দখল এবং নাব্যতা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহের শাখা নদী ও খাল এগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে। খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, দখলরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধিকল্পে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে চারটি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র সূত্র অনুযায়ী,২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, ৩ হাজার স্থায়ী সীমানা পিলার স্থাপন ও বৃক্ষরোপণসহ অন্যান্য কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটিতে আরডিপিপিতে ৭ হাজার ৫৬২টি স্থায়ী সীমানা পিলার, ৮০টি আরসিসি জেটি, ২৯১টি বসার বেঞ্চ, ১৪টি ভারি জেটি, পার্কিং ইয়ার্ড ও ইকোপার্কসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নদী দখল রোধ হবে এবং দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন ব্যবস্থার সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী এবং ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখল রোধ এবং নাব্য বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নে ২০১৬ সালের ১৪ জুন একনেকের সভায় একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে একই বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালককে (প্রশাসন) সদস্যসচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০১৭ সালের মার্চে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালককে (প্রশাসন) সদস্য সচিব করে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজন সমন্বয়ে সভা ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে অংশীজনের মতামত ও সুপারিশ পর্যালোচনাপূর্বক মাস্টারপ্ল্যান করা হয়। উচ্চ জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত নগরায়ন, নদী ও খাল দখল, এবং কঠিন বর্জ্য ডাম্পিং, শিল্প বর্জ্য এবং অপরিশোধিত পয়ঃনিষ্কাশন এই নদীগুলিতে নিষ্কাশন করা।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা শহরের চারদিকে নৌপথ উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। সব সময় কোনো না কোনো নদীতে ড্রেজিং চলছে। নদ-নদীর প্রাণ বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের নির্দেশনা ধরেই আমরা কাজ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন