ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটের দ্বি-রাষ্ট্রীক সমাধানের কট্টর সমালোচক কট্টর ডানপন্থি ডেভিড ফ্রাইডম্যানকে ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিয়েছেন নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার দিনের শেষদিকে তিনি তার নাম ঘোষণা করেন। আরব ও উদারপন্থী ইহুদিরা ফ্রাইডম্যানের মনোয়নের বিরোধিতা করেছেন। তবে রক্ষণশীলরা তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। আল-আসকা মসজিদের ইমাম শেখ ইকরেমা সাবরি বলেছেন, ফ্রাইডম্যান জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা আসলে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। পিএলও’র মহাসচিব সায়েব ইরকাত বলেছেন, জেরুজালেম ফিলিস্তিন-ইসরাইলের মধ্যকার একটি চূড়ান্ত ইস্যু। ফিলিস্তিনিরা যাকে ভবিষ্যত রাজধানী হিসেবে ভাবছে। কেউ এ ব্যাপারে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিলে তা শান্তি প্রক্রিয়াকেই ব্যাহত করবে। এক বিবৃতিতে ফ্রাইডম্যান বলেন, তিনি ইসরাইলের আদি রাজধানী জেরুজালেমে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে থেকে কাজ করতে আগ্রহী। স্বাভাবিকভাবেই তার এ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনিরা ক্ষুব্ধ হবে। জাতিসংঘ জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বর্তমানে ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিবে অবস্থিত। কট্টর ইসরাইলপন্থি বক্তব্যের জন্য পরিচিত ৫৭ বছর বয়সী আইনজীবী ফ্রাইডম্যান পশ্চিম তীরের অধিকৃত ভূখ-ে ইহুদিদের বসতি স্থাপনের জন্য ভবন নির্মাণের পক্ষে, যে বিষয়টিকে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা শান্তির পথে বাধা বলে বিবেচনা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় ফ্রাইডম্যান যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল সম্পর্ক নিয়ে ট্রাম্পকে পরামর্শ দিতেন। তবে নির্বাচনী প্রচারের সময় ট্রাম্প জয়লাভ করলে ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস জেরুজালেমে নিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বিরোধের অন্যতম প্রধান কারণগুলোর একটি জেরুজালেম। ১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের সময় ইসরাইল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং পুরো নগরটিকে তাদের একক রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমকে দেখতে চায়। দি ইনডিপেন্ডেন্ট, বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন