মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন বলেছেন, কুরআন চর্চায় কেবল সমাজকে অধ:পতন থেকে বাঁচাতে পারে। দেশের সামাজিক অবস্থা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানাবে। তিনি বলেন, দেশ যখন সরকারের ভাষায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, তখন আমাদেরকে সন্তান হারানো মায়ের, স্বামী হারানো স্ত্রীর, বাবা হারানো সন্তানদের আর্তচিৎকার শুনতে হচ্ছে। কোরআনের জ্ঞান না থাকার কারণে সমাজ আজ অধ:পতনের চরমসীমায় পৌঁছে গেছে, এমন কোনো পাপ নেই যা আমাদের দেশে হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, যে জাতি পাপকে পাপ মনে করে না তাদের পতন অনিবার্য। তিনি ঘরে ঘরে কোরআন চর্চার মাধেমে মাধ্যেমে সমাজ বিপ্লবের আহ্বান জানান। তিনি সম্প্রতি ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানা শাখার দায়িত্বশীলদের বৈঠকে একথা বলেন। থানা শাখার আমির আলহাজ মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন থানা শাখার নায়েবে আমির শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুল হাসান প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন. ইসলাম একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষে পরিণত করে। ইসলামী শিক্ষা না থাকলে একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হতে পারে না। নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরিয়ে আনতে না পারলে জাতির চরম বিপর্যয় দেখা দিবে। এজন্য আমরা শিক্ষার সকলস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক দাবি করে আসছি। তিনি বলেন ইসলাম, দেশ ও মানবতান চরম দুর্দিন চলছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম চর্চার কোন ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায় দুর্দশাগ্রস্ত জাতিকে ইসলামের মৌলিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। জাতিকে নৈতিকতাহীন করার পেছনে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী শিক্ষাআইন ও সিলেবাসই বেশি দায়ী। তাই জাতিকে চরম ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে ঈমান ও ইসলাম বিধ্বংসী সিলেবাস সংশোধন করতে হবে।
দাওয়াতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে ৩দিনব্যাপী ২৩তম বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। জুরাইন ইসলামী মহাসম্মেলন ও হালকায়ে জিকির কমিটি আয়োজিত রাজধানীর বুড়িগঙ্গা সেতু সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আলহাজ্ব সুলতান আহমদ খান ও পরিচালনা করেন মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। এতে অন্যান্যের মধ্যে বয়ান পেশ করেন চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিলাহ আল-মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মসজিদে আকবর কমপ্লেক্সের মহাপরিচালক মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর সাহেব খুলনা, ড. মাওলানা আফম খালিদ হোসাইন, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, নওমুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান ওয়ালীউল্লাহ পীর সাহেব বরগুনা, মুফতি ইমাদুদ্দিন, মাওলানা মাসউদুর রহমান চাঁদপুরি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব বাছির উদ্দিন মাহমুদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতি ওমর ফারুক, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, হাজী মোতাহার হোসেন, আজিজুল হক আজিজ, আলহাজ্ব বেলাল হোসেন আরিফ, অধ্যাপক ইউনুছ আহমাদ খান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। সর্বত্র লুটের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। দেশের দুর্নীতির সেসব চিত্র দেখে বর্তমান রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকা অবস্থায় বলেছিলেন, “প্রতি বছর দেশে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়, সে টাকা দিয়ে বছরে একটি করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব” রাষ্ট্রপতির উচ্চারণে সহজেই অনুমেয় যে, দেশে কি পরিমাণ দুর্নীতি ও লুটপাট হয়। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে হলে সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি মাল আত্মসাৎ মারাত্মক গুনাহের কাজ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলাম ও ইসলামী রাজনীতি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম না থাকায় সর্বত্র এর প্রভাব মারাত্মকভাবে পড়তে শুরু করেছে। পর্দার বিরুদ্ধে আইন করার পর এখন ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, অপহরণ, ধর্ষণ মহামারি আকার ধারণ করেছে। গতকালও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোরকা পরিধানের কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন