প্র:- নামাযের মধ্যে ইমামের ‘হদস’ বা ওযু ভঙ্গের কারণ ঘটে গেলে কি করতে হবে?
উ:- তৎক্ষণাত সরে গিয়ে যে রোকন বা কাজের মধ্যে হদস হয়েছে সেই রোকনেই মুক্তাদীগণ হতে একজনকে খলীফাহ নিযুক্ত করে যেতে হবে।
প্র:- খলীফার পিছনে ইমাম কি তার অবশিষ্ট নামায পুনরায় পড়তে পারবেন?
উ:- হাঁ, নতুনভাবে ওযু করে এসে তাঁর খলীফার পিছনে সে অবশিষ্ট নামায পড়তে পারবেন। এটাকে বেনা বলা হয়।
প্র:- ছেড়ে দেওয়া নামাযে পুনরায় শামিল হওয়া (বেনা করা) মুক্তাদী এবং মুনফারিদ উভয়ের জন্যেই কি জায়েয?
উ:- বেনা করা সবার জন্যেই জায়েয। তবে মুনফারিদের জন্যে বেনার চেয়ে নতুনভাবে নামায পড়ে ফেলাই উত্তম। ইমাম ও মুক্তাদী বেনা করলেই বেশি সওয়াব পাবে। আর না করলে জামাআতের সওয়াব হতে বঞ্চিত থাকবে। (আলমগীরী)
প্র:- মুক্তাদীদের অপছন্দ সত্ত্বেও কোন ইমামের ইমামতি করা কেমন?
উ:- ধর্মীয় কোন কারণে কোন ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি বা অনাস্থা সৃষ্টি হলে, তার জন্যে ইমামতি করা মাকরূহে তাহরীমী। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক বা বৈষয়িক কারণে ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি গ্রহণযোগ্য নয়।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন