কর্পোরেট ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলনসীমা আরোপের সিদ্ধান্ত বাস্থবায়ন নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, অন্যতম শীর্ষ উত্তোলক দেশ কুয়েত উত্তোলন কমিয়ে আনার পক্ষে কথা বলুিুুুু ায় তা কেটেছে বলে বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকেই নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। পরের আড়াই বছরে পণ্যটির দাম প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যায়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও ওপেকবহির্ভূত কয়েকটি শীর্ষ তেল উত্তোলক দেশ পণ্যটির দাম বাড়াতে জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এ লক্ষ্যে উত্তোলন নির্দিষ্টসীমার মধ্যে বেঁধে রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে এ দেশগুলো। ওপেক ও অন্য শীর্ষ উত্তোলক দেশগুলোর এ চেষ্টা সফল হলেও গত মাসে (নভেম্বর) সম্মিলিত উৎপাদন তথ্য এতে জটিলতা সৃষ্টি করে। গত ৩০ নভেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেকের বৈঠকে এর সদস্য দেশগুলো সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সম্মিলিতভাবে দৈনিক ৩ কোটি ২৫ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করবে। এর আগে গত ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টিতে প্রাথমিক সম্মতি জ্ঞাপন করেছিল ওপেক সদস্য দেশগুলো। সে সময় বলা হয়েছিল, শীর্ষ উত্তোলক দেশগুলো সম্মিলিতভাবে পণ্যটির দৈনিক উত্তোলন ৩ কোটি ২৫ লাখ থেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ ব্যারেলের মধ্যে সীমিত রাখবে। এর পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়ে যায়। ভিয়েনার বৈঠকে ওপেকভুক্ত দেশগুলো বিষয়টিতে চূড়ান্ত সম্মতি জ্ঞাপন করলে তেলের দর ব্যারেলে ৫০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন