চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পার্ক, বিপণিবিতান, জাদুঘরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যেই দেশটির জিনজিয়াং অঞ্চলে উরুমকি শহরের একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন নিহত হন। লকডাউনের কারণে আটকে পড়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছেন অনেকে।
এরই মধ্যে সাংহাইসহ বিভিন্ন শহরে কঠোর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। সাংহাইয়ে আন্দোলন চলাকালে প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের পদত্যাগের দাবিতে অনেকেই স্লোগান দেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন তারা।
এ ছাড়া সাংহাইয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণ করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের স্মরণ করতে অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়েও জড়ো হন।
এদিকে সাংহাইয়ে আজ রোববার সকালে পরিস্থিতি শান্ত দেখা গেলেও পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। অনেক পুলিশ সদস্য, নিরাপত্তাকর্মী ও সাদা পোশাকে পুলিশ কর্মকর্তাদের রাস্তায় দেখা গেছে।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে শুরু থেকেই কড়া লকডাউনের মধ্য দিয়ে দিন পার করছেন চীনা নাগরিকরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন নীতিমালা শিথিল করা হলেও চীনে এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায়। এখনো দেশটির বেশিরভাগ স্থানে সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন মাত্রার লকডাউন চলছে। এর ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। এর মধ্যেই জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লকডাউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন