শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নতুন ড্যাপে এফএআরকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

পরিকল্পিত আবাসন ও উন্নত রাজধানি গড়তে নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ অনুমোদন পেয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নতুন এই পরিকল্পনায় টেকসই নগরায়ন বান্ধব উদ্যোগ থাকলেও আবাসন শিল্পের জন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে দাবি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব)।
গতকাল রোববার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিয়েল এস্টেট অন্ড হাউজিংয়ের দ্বিতীয় সভায় আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা জানান, নতুন ড্যাপে রাস্তার প্রশস্ততার অনুপাতে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আগে যেখানে প্রশস্ত রাস্তা না থাকলেও ৮ থেকে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা যেত, এখন সেখানে অনুমোদন পাওয়া যাবে ৪ থেকে ৫ তলার। এ কারণে স্বল্প প্রস্থের রাস্তার পাশের জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বৈশম্যের শিকার হবেন আবাসন ব্যবসায়ীরাও। এমন অবস্থায়, শিল্পটি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে দাবি তাদের।
বৈঠকে জানানো হয়, আগে রাজধানীতে জমির নিবন্ধন ফি নির্ধারণ হতো মৌজার দর অনুযায়ী। নতুন ড্যাপে সেটিকে পরিবর্তন করে বাজার মূল্য অনুযায়ী নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। যেটিকেও আবাসন শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তারা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, আবাসন খাতের সঙ্কট নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এ সময়, নিজেদের ধারণা সমৃদ্ধ করতে-আবাসন ব্যবসায়ীদের ড্যাপ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণের পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে টেকসই নগরায়ন নিশ্চিতে ড্যাপকে বাস্তবতার আলোকে সমন্বয় করতে রাজউকের প্রতি আহ্বান জানান।
রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ড্যাপে বেশকিছু ভালো দিক রয়েছে। তবে আবাসন খাতের জন্য কিছু জটিলতা থেকে গেছে। এসব বিষয়ে সমাধানে আসতে রাজউক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অন্যান্য অংশীজনদের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রিহ্যাব। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগী হয়ে কাজ করতে চাই।
এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার, শফিকুল ইসলাম ভরসা, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আবু মোতালেব, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া মিলন, কো-চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জিটু, মোহাম্মদ আলী দ্বীন, কামাল মাহমুদ, এ.এফ.এম ওবায়দুল্লাহসহ অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন